পারিনা
একদম খাপ খাইয়ে চলতে পারিনা,
হোচট খাওয়া পায়ে খুঁড়ে খুঁড়ে পথ চলি…
তোমাদের কাছে আমি এক বেখাপ্পা জীব!.
অথচ
… সজীব মনের আয়নায়
তোমাদের নির্জীব প্রতিচ্ছবি বলে দেয়
এই বেলাজ চরিত্র কথা, গুপ্ত কাহিনী!..
আমার খুব ব্যথা লাগে-
মানুষ হয়ে মানুষের পূজা করতে দেখে;
হাহাহা…
আসলেই কি মানুষ? নাকি পোষা জন্তু!
সম্মুখে কেমন মিঁও মিঁও…. আর আডাল হলে নেড়িকুত্তার মতো ঘেউঘেউ করাকে ‘আনুগত্যের’ স্বীকৃতি কে দিলো?
কবে?…
গাঁজাখুরি প্রশংসায় পঞ্চমুখ হওয়া আমার সাধ্যে নাই!
তাই বলে
সকলে মিলে বঞ্চিত কর আমার প্রাপ্য থেকে!
অথচ
দ্যাখো, বেশ দিব্যি আছি!
ভোগে উপভোগে
জীবনের এক একটি মুহূর্ত , একেকটি সন্ধ্যা, জোছনা মাখা শাদ্বল মাঠ…জোনাকির খুনসুটি , একফোঁটা শিশিরের স্খলন সুখ..
বিন্দু বিন্দু জলরাশির স্নিগ্ধ স্বরূপ
খোলা বাতায়নে উঁকি দেয় রজনী মোহন চাঁদ…
এসব আমি সঞ্চয় করি
আগলে ধরি
যতন করে ছুয়ে দিই সুন্দরের অবিনাশ বিভা!
মনে মনে গুণগুণ করি
গান গাই
আবৃত্তি করি অনাবৃত হৃদয়ের পংক্তিমালা..
ভালোবাসায় পঞ্জি-ভুত করি
নির্লোভ উন্মাদনা
দিনে দিনে
ক্রমে ক্রমে
পূর্ণ করি জীর্ণ শূন্যতা…. বিস্তীর্ণ খানাখন্দ!
কেউ মানুক না মানুক
মানুষের হাস্যোজ্জ্বল মুখচ্ছবিতেই খুঁজে নিই –
আমার সকল সুখ.. দুঃখ… আনন্দ!
(পরিমার্জিত)
নির্লোভ উন্মাদনা
দিনে দিনে ক্রমে ক্রমে
পূর্ণ করি জীর্ণ শূন্যতা…. বিস্তীর্ণ খানাখন্দ!