পৃথিবীর তাবৎ কবিরা আজতক রচনা করেনি যেই কাব্য
সভ্যতার ইতিহাসে সঞ্চার হয়নি যেই সৃষ্টির আলো
ধরণীর ক্যানভাসে অংকিত হয়নি যেই জলছবি
আমার হাতে আজ সেই সবিই হবে, কেবল তোমার সঙ্গতা চাই-
সন্ধ্যার আকাশে যে তারা জ্বলছে মিটমিট ধ্রুবালোয়
জ্যোৎস্নার সীমান্তে উড়ছে যেই সোনালী অভ্র দুর্জয়
কিংবা এখনো যেই মেঘালয় পৌছুতে পারেনি ঊষার দিগন্তে
আমি সেই সবিই জয় করবো; কেবল তোমার সঙ্গতা চাই-
বৃষ্টির অজর ধারা ছুঁয়েনি যেই এটেল মাটি
সর্বভুক ঝর্না দেখেনি যেই স্বর্ণালী নদীর রূপালী ঢেউ
পাখীদের গুঞ্জন পৌঁছায়নি যেই দ্বীপ তটে
আমি সেই সবিই জয় করবো; কেবল তোমার সঙ্গতা চাই-
আর কেউ পারবেনা আমার এই অনিমেষের প্রাণ জাগাতে
দুনিয়ার নারীদের আমার চেনা হয়ে গেছে
পুরুষের কাপুরুষতার কথা রাষ্ট হয়ে আছে প্রবৃত্তির শৃঙ্খলে
জগতের এক একটি প্রাণী যাদের চেকে দেখছি নিবিড় মমতায়
ফুলের সেই শাশ্বত সুবাস নাই
পাখীর সেই চিত্ত জাগানো সুর নাই
কবিতার শোণিতে নাই সেই শান
চেতনার উন্মেষে পৌছায়না আজ চিরন্তন কোন গান;
আর কোন কিছুতেই হবেনা প্রাণ জুড়ানো উচ্ছ্বাস
কেবল তুমিই পারো জাগাতে আমাকে – হে সতত বিশ্বাস!
হে বিশ্বাস!
তোমাকেই চাই আমার দৃঢ়টায়,আমার প্রাঞ্জলতায়
তোমার পরিপূর্ণতায় উজ্জ্বেবিত করো মৃতপ্রায় এই আত্মা
শুদ্ধ পরিশুদ্ধতায় হও সুনসান……..
প্রমত্ত করো আমার অতলান্তের সমগ্র সত্ত্বা।
তোমাকেই চাই আমার দৃঢ়টায়,আমার প্রাঞ্জলতায় …
তোমার পরিপূর্ণতায় উজ্জ্বেবিত করো মৃতপ্রায় এই আত্মা।