পলাশ সম্ভোগ

330

রূপে তোর মহামায়া
নেশা ভরা ঘোর চোখে বাল্মীকি রোদ জ্বলে
মাতাল করা গন্ধে বিভোর আমি-
নিজেকে হারাই তোর উথাল পাতাল চুলে।

তাপে উত্তাপে হই উদগ্রীব বিরহী বিলাপে
বুকে তোর ধ্রুপদী সকাল, আড়ালের হিমে কাঁপে;
স্বপ্ন ফোটা উচ্ছ্বাসে
কমুদীনি সুবাস ভাসে প্রজাপতির বাগে, আগলের ঝাঁপে
বর্ণাঢ্য ফাগুন; লাজ লজ্জা ভুলে, মেতে থাকে পলাশী সম্ভোগে!

দ্বিগুণ মন্থনে উত্থিত আগুন
যদিও বুকে ধরে রেখেছিস বসন্তের একান্ত কোমলতা,
তোর অন্তরে বেঁধেছিস পূজার ঘণ্টা; প্রতিমার চোখে
সীমাহীন পিয়াস জাগে!
আমার চেয়ে বেশী কে আর জানে তা?

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

1 thought on “পলাশ সম্ভোগ

  1. কমুদীনি সুবাস ভাসে প্রজাপতির বাগে, আগলের ঝাঁপে
    বর্ণাঢ্য ফাগুন; লাজ লজ্জা ভুলে, মেতে থাকে পলাশী সম্ভোগে! https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।