যতক্ষণ দম আছে ততক্ষণ
হ্যাঁ ততক্ষণ! জ্বল তুই জীবন
নির্বাণ অনলে
অনির্বাণ দহনে
স্মৃতির স্মরণে
বিস্মৃতির জাগরণে জ্বল!
জ্বল!
যতক্ষণ দম আছে ততক্ষণ!
যতক্ষণ দম আছে, জীবন- জ্বল তুই ততক্ষণ!
অন্তহীন ক্ষরণের জ্বালায় জ্বল
ঘুমহীন রাত্তির জ্বলায় জ্বল
অপেক্ষার বিষ গিলে গিলে জ্বল
দেখেও না দেখার ভানে জ্বল
জ্বল তুই সীমাহীন তুচ্ছতায়
ক্ষোভে অক্ষোভে নির্বাক কান্নার স্বচ্ছ জল ধারায়
জ্বল! জ্বল! জ্বল তুই জীবন
জ্বল তুই যতক্ষণ দম আছে ততক্ষণ!
তুই জ্বল
জ্বল তুই, যতক্ষণ ক্ষান্ত হবেনা মনের আগ্নেয়গিরি
যতক্ষণ না তৃপ্ত হবে-
সত্যের মুখে কুলুপ এঁটে মিথ্যার উত্তরসূরিরা;
তুই জ্বল
তুই মর, জীবন
মর তুই ধুকে ধুকে
এত ছলনা বেঁচে থাকতে সরল সত্য ধারণ করেছিস কোন দুঃখে!
জ্বলে জ্বলে দগ্ধের অতলে যদি বেঁচে থাকিস
ধিক্কারে, হুংকারে পদদলিত হতে হতে যদি দম ফেলিস-
ভাবিস না তোকে টেনে তুলবে ক্ষণিকের দয়া, জানিস না
অহংকারের দলিত থু থু নেভাতে পারবে না তোর জ্বলন্ত জীবন!
আর কত মূলে যাবি
জীবন এখানেই খুলেছে রঙের পসরা
আর কত চুড়ায় উঠবি
দগ্ধ পদমূল ভুলে গেছে হাটা; এখন ছন্দ হারা।
জ্বলতে জ্বলতে ছাই হবি
এই জীবনে পারবি না হতে একটি কবিতার কবি,
পুড়তে পুড়তে নিঃশেষ হবি ঠিক
পারবি না তুই হতে ভালবাসার প্রেমিক।
তুই দগ্ধ হবি
স্বপ্ন সাজাতে যুদ্ধ করবি
রক্তের স্রোতে ভেসে যাবি
কাঁদতে কাঁদতে অক্ষি কোঠর শুকিয়ে ফেলবি
কিংবা-
প্রাণপণে ভিক্ষা চাইবি একটুকু প্রেম;
বলতে পারিস- কি পাবি?
দহনের দাহ্য তিরস্কার
মরণের অনিবার্য ধিক্কার!
সব সত্য অস্বীকার করে
অবশেষে তুই-ই মিথ্যা বলে গণ্য হবি!!
বলতে পারিস- কি পাবি?
দহনের দাহ্য তিরস্কার
মরণের অনিবার্য ধিক্কার!