যে কোন দেশ চালায় রাষ্ট্রনেতারা। সেই রাষ্ট্রনেতা রাষ্ট্র চালায় সরকারী কর্মচারীদের মাধ্যমে। প্রতিটি রাজনৈতিক নেতা চাইবে নিজস্ব ক্ষমতা দখল করে রাখার জন্য যা ইচ্ছে খুশি শাসননীতি। সেই শাসননীতি পূর্ববর্তী আইন মোতাবেক অথবা নতুন তৈরি আইন মোতাবেক করতে হয়। এই আইন বা নীতি কার্যকর সরকারী আমলাদের দ্বারাই হয়। সরকারী আমলা এবং অন্য সব শ্রেণি যদি আইন বা নীতির প্রতি সঠিক শ্রদ্ধাশীল হয় তাহলে জন প্রতিনিধি বা রাজনৈতিক নেতার পক্ষে দুর্নীতি করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে রাষ্ট্রনেতাদের পছন্দ হয় নি এমন আমলা বা সরকারী কর্মচারীকে সরিয়ে অন্য একজনকে নিয়ে আসে। সেও কিন্ত সরকারী কর্মচারী। তাহলে তাকে দিয়ে রাষ্ট্রনেতা নিজের ক্ষমতা বাঁচানোর প্রক্রিয়া করেন। যদি সমস্ত স্তরের সরকারী কর্মচারী বা আমলা শ্রেণি নীতিও আইন মোতাবেক কাজ করে এবং দৃঢ়চেতা দুর্নীতি মুক্ত থাকে তাহলে কোন সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত হতেই পারে না।
এক রাষ্ট্রনেতা কোন সরকারী জায়গায় নিজস্ব মনমানি করল। সেখানে কর্মচারী তার প্রতিবাদ করল। সেই রাষ্ট্রনেতার তা ভাল লাগল না। সেই রাষ্ট্রনেতা প্রথমেই ওই কর্মচারীকে বদলী করতে চাইবে কোন দূর প্রদেশে। কিন্তু মনে রাখতে হবে সেই কর্মচারী বদলী করতে হলে অবশ্য আর এক ওই দপ্তরের উপরওয়ালার সাহায্য নিতে হবে। অর্থাৎ অন্য উপরওয়ালা বদলীর অর্ডার করবেন ওই রাষ্ট্রনেতার কথা শুনে।
ওই উপরওয়ালা যদি রাষ্ট্রনেতাকে বাবু বাবু না করে একটু দৃঢ় মনোভাব দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী সম্বন্ধে জেনে বুঝে অর্ডার করেন তাহলে সেই প্রতিবাদী কর্মচারী নিজস্ব কাজ আরও নিষ্ঠার সঙ্গে করতে পারে। তার ইমিডিয়েট অথরিটি এবং বদলীর আদেশকারী যদি সহযোগিতা করে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা হয় না। কর্মচারী বদলীর ভয়ে রাজনৈতিক নেতাদের বা রাষ্ট্র পদাধিকার নেতার মনমানি মত কাজ করতে বাধ্য হয়। কেননা তার যেসব আপন সরকারী অফিসার ও আমলা সম্প্রদায় আছে তাঁরা তাকে সহযোগিতা করে না। সেই রাজনৈতিক বা রাষ্ট্রনেতাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ফলে কাজকর্ম সরকারী আদেশনামা বা আইন বা নীতির ফাঁক খুঁজে ফাঁক অনুযায়ী কার্যকরী হতে থাকে। ফলে সামাজিক ও সংস্কারী উন্নতির অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
সরকারী যে সব টাকা বিভিন্ন খাতে দেওয়া হয় তা কখনই কোন জন প্রতিনিধি বা রাষ্ট্রনেতার নামে আসে না। সরকারী আমলা ও অফিসারদের পদমর্যাদায় আসে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় সেই টাকার ভাগ খুব সহজে রাজনৈতিক বা রাষ্ট্রনেতার কাছে পৌঁছে যায়। ফলে দুর্নীতির সোপান শুরু হয়। এবং তা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। রোধ করা যায়। যদি সমস্ত স্তরের সরকারী কর্মচারী সে পিয়ন থেকে শুরু করে সচিব আমলা অফিসার সবাই একজোটে দুর্নীতিহীন ও ঘুষহীন দৃঢ়চেতা হয়।
তাহলে কি দাঁড়াল? কে দুর্নীতিগ্রস্ত। পড়াশুনা জানা সরকারী কর্মচারী না কি রাজনৈতিক নেতা ( তিনি শিক্ষিত কি না বিচার্য নয়)।
দেশ পরিচালিত হয় রাজনৈতিক বাতাবরণে। যে কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতা পেলে তাকে ধরে রাখার জন্য তার মত দেশকে সে পরিচালিত করবে। এর মধ্যে দোষের কিছুই নেই। কিন্তু সেই নীতি আইন পদক্ষেপ কতটা সঠিক তা দেখার দায়িত্ব স্থায়ী কর্মচারীর। পুলিশ প্রশাসন অর্থ শিক্ষা স্বাস্থ্য সব ক্ষেত্রেই।
এই ব্যাপারে সবার উপরে দায়িত্বশীল হতে হবে অফিসার, আমলা, পদাধিকার ও ইন চার্জদের। এরা কোনভাবে কোথাও দাঁড়িয়ে পড়লে পেছনের অফিসিয়েল কোনভাবেই তা এভোয়েড করতে পারবে না। তাদেরকে আসতেই হবে। যেমন ধরুন ডাক্তারবাবু মুমুর্ষু রোগীর সামনে দাঁড়িয়ে এক্সজামিন করছেন অথচ সেখানেই নার্সিং পারসোন্যাল হেডফোনে গান শুনছে, জিডিএ চেয়ার পা তুলে র্যাল মারছে এটা হতেই পারে না। বরং উল্টোটা আকচার হয়। অন্য সবাই আছে ডাক্তারের খোঁজ নেই।
অফিসার সচিব ইনচার্জ কখন আসে কখন যায় ঠিক নেই কিন্তু অন্য জনকে কাজের হুমকি দেয়। কাজ দরকার, তা বলে এই নয় মাথার কোন খোঁজ থাকবে না।
6 thoughts on “কোন রাজনৈতিক নয়”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
‘যে কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতা পেলে তাকে ধরে রাখার জন্য তার মত দেশকে সে পরিচালিত করবে। এর মধ্যে দোষের কিছুই নেই। কিন্তু সেই নীতি আইন পদক্ষেপ কতটা সঠিক তা দেখার দায়িত্ব স্থায়ী কর্মচারীর। পুলিশ প্রশাসন অর্থ শিক্ষা স্বাস্থ্য সব ক্ষেত্রেই।’
অথচ দুঃখজনক যে, ভারত বাংলাদেশ কোথাও এর তেমন চর্চা আছে মনে হয় না।
সমকালীন প্রবন্ধ সময়ের কথা বলে। ধন্যবাদ প্রিয় কবি দা।
ধন্যবাদ। সেই দুঃখজনক পরিস্থিতিতে দেশ এগিয়ে চলেছে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় সেই টাকার ভাগ খুব সহজে রাজনৈতিক বা রাষ্ট্রনেতার কাছে পৌঁছে যায়। ফলে দুর্নীতির সোপান শুরু হয়। এবং তা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
সত্যকথন।
অনেক ধন্যবাদ
ভাল থাকবেন।
সরকারী যে সব টাকা বিভিন্ন খাতে দেওয়া হয় তা কখনই কোন জন প্রতিনিধি বা রাষ্ট্রনেতার নামে আসে না। সরকারী আমলা ও অফিসারদের পদমর্যাদায় আসে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় সেই টাকার ভাগ খুব সহজে রাজনৈতিক বা রাষ্ট্রনেতার কাছে পৌঁছে যায়। ফলে দুর্নীতির সোপান শুরু হয়। এবং তা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। রোধ করা যায়। যদি সমস্ত স্তরের সরকারী কর্মচারী সে পিয়ন থেকে শুরু করে সচিব আমলা অফিসার সবাই একজোটে দুর্নীতিহীন ও ঘুষহীন দৃঢ়চেতা হয়।
ধন্যবাদ
ভাল থাকবেন।