– আপনার পেশা কি? মানে আপনি কি করেন?
প্রশ্নের উত্তর দিতে চায় নি কবি। উল্টে কবি সম্মেলন মঞ্চে কবিতা পড়ে শোনাল – দুমুঠো ফুটিয়ে খাব। এক পৃথিবী লিখব। সবার হৃদয়ে আকাশ আঁকব।
কবিতা পড়া শেষ করে আর আমার কাছে এসে বসল না। তাই তার পাশে এক সুন্দরী মহিলা কবি বসেছিলেন তিনিও ধীর পদক্ষেপে তার সিট ছেড়ে উঠে গেলেন।
সেখানে কবির পাশে আর সিট ফাঁকা নেই। কবি তিনিকে দেখে পাশের ভদ্রলোককে কিসব বললেন। তাতে ভদ্রলোক তিনিকে দেখে কবিকে বললেন – শিওর। আসুন। বসুন।
ভদ্রলোক উঠে এদিক ওদিক তাকিয়ে সিট খুঁজতে লাগলেন। আমি হাতছানি দিয়ে ডাকলাম। ভদ্রলোক এসে আমার পাশে বসলেন । বললেন – ধন্যবাদ।
আমি হেসে জিজ্ঞেস করলাম – আপনি কি করেন?
– আমি শিক্ষক।
– কবি নন?
ভদ্রলোক হো হো করে হেসে ফেলল। শব্দ একটু জোরে হয়ে গেল। তাই লজ্জা পেয়ে বললেন – কবি সম্মেলনে এসেছি তাই কবি তো অবশ্যই। শুধু কবিতা লেখা বা গল্প লেখার পেশা, অনেকটা জীবনকে ফাঁকি দেওয়ার মত। তবে আমি শিক্ষকতা করি। আর অবসরে এসব চর্চা করি।
আমি মনে জোর পেলাম। বললাম – আপনার সঙ্গে আমার জমবে। তার মানে কবিতা গল্প লেখার জন্য আপনি আপনার কর্মকুশলতায় কোন ফাঁকি দেন নি। তাই তো?
ভদ্রলোক আমার দিকে তাকালেন। বললেন – তা কী করে হয়? আমি শিক্ষকতায় ফাঁকি দিলে আগামী শিক্ষা সমাজ ফাঁকিতে পড়বে। কিন্তু ছাত্রছাত্রী ঠিক তার পড়াশুনা করে নেবে। তাই প্রশাসন পদ্ধতি চাইবে আর শিক্ষক নিয়োগ করে কি হবে?
আমি কবির সাথে হাত মেলালাম। সামনে বসা নিজেদের মধ্যে প্রায় মুখে মুখ লাগিয়ে গল্প করা সেই কবি ও কবিনীকে দেখিয়ে বললাম – ওই দেখুন, কবি ও তার উদ্দেশ্য। কিছু শুনছে কী?
আমার পাশে বসা কবিও হাসলেন। বললেন – আমিও তাই ভাবি কতভাবে কবিতা লেখা হয়।
– তাই তো। এবার শোনা যাক কবিতার রঙ্গমঞ্চের কিছু কবিতা।
10 thoughts on “কবিতার রঙ্গমঞ্চ”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
অনেক ধন্যবাদ
ভাল থাকবেন
কবি এবং কবিতার অবস্থান কেবল অনুমান নয় স্পষ্টই ভেবে নেয়া যায়।
ধন্যবাদ
ভাল থাকবেন
কবিতার রঙ্গমঞ্চ। সাথে কবি সমাজেরও।
ধন্যবাদ
ভাল থাকবেন
কবি সম্মেলনে এসেছি তাই কবি তো অবশ্যই। শুধু কবিতা লেখা বা গল্প লেখার পেশা, অনেকটা জীবনকে ফাঁকি দেওয়ার মত। বিশেষ লাইনটি ( কোট করলাম।)
জানিনা কেন।
ধন্যবাদ জানালাম।
ভাল থাকবেন
আপনার লিখাটি পড়লাম।
ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।