সিনায় সিনায় জিকির উঠে
ফকির আবদুল মালেক
পাগলটাকে আটকাও … কেউ বললে, ভ্রক্ষেপ করিনি,
সরাসরি লাশ শায়িত খাটের পাশে দাড়িয়ে বললাম-
শেষ দৃশ্য বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় উপস্থিত
সমবেত জনতা, তাহাদ আলী সন্ত্রাসী ছিল…
তবুতো অনেকে ভিনদেশে দিয়েছে পাড়ি ,
তাহাদ আলী মাটিকে আকড়ে ছিল বৃক্ষের মতো আজীবন,
ডোবার পাড়ে উপোড় হয়ে পড়ে থাকা লাশটার মুষ্ঠিবদ্ধ মাটি
তোমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে !!
-আগেই বলেছি পাগলটাকে আটকাও, ওকে শিকলে বেধে রাখো…..
যেন স্রষ্টার –কুন-ফা-ইয়া-কুন,
কয়েকজন যুবক আমাকে জনহীন প্রান্তরের বৃক্ষে
শিকল দিয়ে বেধে লাশ নিয়ে চলে গেল, শেষ গন্তব্যে, মাটিতেই।
উদিত চন্দ্রিমায় দিন হজম হয় রাত্রির উদরে
গুটিয়ে নিলো ব্যাঙ তার উল্লাসিত জিহ্বা পোকার সর্বনাশে
মাটিতে সাতার দিয়ে একে বেকে ছুটে যায় সাপ
চোখের রাডারে দেখে নিয়ে এদিক ওদিক
ভেজী যায় ধরনীর বুকে সুড়সুড়ি দিয়ে।
খাদ্যচক্রের এইসব রূঢ় সত্য আমার ভাবনাকে
তাড়িয়ে নিয়ে যায় ভয়াবহ রক্তপাতের দিকে,
একটা চরমপন্থী পথনির্দেশনা আমার ভাবানাকে
তীরের মতো ছুড়ে নিয়ে যায় বাস্তবতার সন্নিকটে ।
জোৎস্নার ফোয়ারা টিকটিকির রক্ত বলে ভ্রম হয়।
তবু ক্রশ ফায়ারের তাহাদ আলী লাশ মাথার ভাবনাকে
বক্ষে নিয়ে আসে…
সিনায় সিনায় জিকির উঠে -মানুষ, মানুষ ইছমে-আজম,
সকল ধর্ম-মতবাদে পড়ে টান
শিকল ছিড়ে রক্ত ঝরে নূহের প্লাবন সমান।
-আগেই বলেছি পাগলটাকে আটকাও, ওকে শিকলে বেধে রাখো…..
যেন স্রষ্টার –কুন-ফা-ইয়া-কুন,
কয়েকজন যুবক আমাকে জনহীন প্রান্তরের বৃক্ষে
শিকল দিয়ে বেধে লাশ নিয়ে চলে গেল, শেষ গন্তব্যে, মাটিতেই।
ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর।
মন্তব্যের জন্য বহুত বহুত শুকরিয়া।
সিনায় সিনায় জিকির উঠুক।
ভয়াবহ এবং মারত্মক একটি অসাধারণ লিখা প্রিয় কবিবন্ধু।
ভয়াবহ এবং মারত্মক কেন!!
তবে কি এটা ভৌতিক কবিতা?
শিকল দিয়ে বেধে লাশ নিয়ে চলে গেল, শেষ গন্তব্যে, মাটিতেই।— এই লাইনটা খুব ভালো লাগলো ।
এমনই হয় একটা কবিতাপাঠ করে দুই একটা লাইন ভাল লেগে যায়।
ধন্যবাদ আপনাকে।