মূলত আত্মকাহিনি বলে কিছু নেই

মূলত আত্মকাহিনি বলে কিছু নেই

পিতা বলতেন, সব কথার জবাব দিতে নেই। আমি,
তারপরও কালো ছাতা টাঙিয়ে আটকে দিতাম
আষাঢ়ের ঝাপ্টা, হাতের লাল লাঠি দিয়ে, ঠেকাতে
চাইতাম সর্পের উদ্যত ফণা, শৃগালের মৌসুমি উৎপাত।

পিতা বলতেন, এঁকে রাখো সূর্যের ধৈর্যপেশী। এবং
লিখো জ্যোতির্ময় চন্দ্রের সবকটি প্রতিনাম।
তারপরও আমি আঁকাআঁকি ভুলে গিয়ে পাল্লা দিতাম
সুরমার ঢেউয়ের সাথে। আর যারা স্রোতের বিপরীতে
সাজাতো হিংসার সর্বনাম- তাদের জন্য ছিটাতাম করুণা।

আমি অনেক কিছুর সারসংক্ষেপই ক্ষমার খাতায়
লিখে রাখি না। বরং যে বাজপাখি লালচোখ দিয়ে
আমার দিকে তাকায়, আমি মাঝে মাঝে উপড়ে ফেলি
তার দৃষ্টি। যে ঝড় আত্মকাহিনি লিখতে জানে না,
আমি তার বুকেই পেতে দিই খড়শয্যা। তাকিয়ে দেখি-
আমাকে ছায়া দিয়েই উড়ে যাচ্ছে মেঘ,
আমাকে সিক্ত করেই ঝরছে, বৃষ্টিকাব্যের অগণিত পালক।

6 thoughts on “মূলত আত্মকাহিনি বলে কিছু নেই

  1. সুন্দর লিখা প্রিয় কবি প্রিয় ইলিয়াস ভাই। শুভেচ্ছা জানবেন। শুভ দিন।

  2. "যে ঝড় আত্মকাহিনি লিখতে জানে না,
    আমি তার বুকেই পেতে দিই খড়শয্যা। তাকিয়ে দেখি-
    আমাকে ছায়া দিয়েই উড়ে যাচ্ছে মেঘ,
    আমাকে সিক্ত করেই ঝরছে, বৃষ্টিকাব্যের অগণিত পালক।"

     

    পরিচ্ছন্ন সুন্দর। শুভকামনা ।   

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।