মৃত পাখির হাড় থেকে জন্ম নিয়েছিল যে পাথর
অলক্ষ্যেই অনেক কিছু আমার দেখা হয়ে যায়। মৃত পাখির হাড় থেকে
জন্ম নিয়েছিল যে পাথর তার উপর জন্মেছে একটি বৃক্ষ, সেই বৃক্ষে ফুটে
আছে একটি নামহীন ফুল। ফুলটি কী তবে সেই পাখির ডানাচিহ্ন! আর
বৃক্ষটি কী তবে পাখির সহদোরা! যে বিলে স্নান সারতো ঐ পাখি, সেই
চলনবিল কী তবে আমার লেখার খাতা! এমন অনেক ঘোরদৃশ্য দেখতে
দেখতে আমি ট্রেনে চেপে বসি। টিকিট চেকার এসে আমার টিকিট দেখতে
চান। টিকিট কাটি’নি আমি। দিইনি ট্রেনের ভাড়া। আমাকে সামনের স্টেশনেই
নেমে যাবার আদেশ জারি হয়। আমি কাঁধের ঝুলো’টি সামলাতে সামলাতে
নেমে পড়ার জন্য তৈরি হই। একজন কাগজ বিক্রেতা এসে আমার সামনে
দাঁড়ান। এবং বলতে থাকেন— নামবেন না বাবু! আপনার ভাড়াটা আমিই
দিয়ে দিচ্ছি…………
আমি ক্রমশ পাথর হতে থাকি। মনে হয়, মানবজনমের চেয়ে পাথরজনম
অনেক ভালো। পাথর অনেক কিছুই দেখতে পারে। মানুষ চেয়েও দেখে না।
শুভেচ্ছা জানবেন প্রিয় কবি প্রিয় ইলিয়াস ভাই।
শুভেচ্ছা কবি ফকির ইলিয়াস ভাই।
কবিতাটি পড়লাম। ভালোবাসা রইলো কবি।
সুন্দর।
মনে হয়, মানবজনমের চেয়ে পাথরজনম
অনেক ভালো। পাথর অনেক কিছুই দেখতে পারে। মানুষ চেয়েও দেখে না।