আলখেল্লার অন্ধকার

জোব্বার নীচে লুকিয়ে রেখেছ অনেকগুলো সাপ,
কেউটে, বানর-
রেখেছ কৃমি ও কর্কট। এই মহামারী কালেও বলছ
মিথ্যে। ধোকা দিতে চাইছ তোমার পাঠক’কে!

কী বিষাদ ঘিরেছে তোমাকে। পথে পড়ে থাকা
বাঁকা দড়ি দেখে চিৎকার করছ- সাপ, সাপ বলে!
কেন এত পাপ তোমার! কেন খোলসের ভেতর
আটকে থেকে উঁকি দিচ্ছ, অনেক মানুষের অবয়বে।

ঢাল বিস্তার করতে চাইছ আকাশের দিকে।
আবার সরিয়ে নিচ্ছ ছায়া। খুবই উদভ্রান্ত তুমি!

মৌলবাদী হে! তুমি সাপ বলেই অন্য মানুষকে
বলো সাপ। তুমি একচক্ষু বলেই ভাবো-
অন্যেরা অন্ধ! কী বিচিত্র ফসকা গেরো তোমার!

বিশ্বের তাবৎ মনীষীদের দোহাই দিচ্ছ তুমি!
দোহাই দিচ্ছ বড় বড় কিতাবের!
অথচ তুমি তো জানো- মানবিক সত্যের চেয়ে
পৃথিবীতে বড় কোনো শক্তি নেই।

না- এর বেশি কিছুই বলবো না আজ।
কবি নও, কচ্ছপের অধিক তুমি-
মাথা বের করছ, আবার গুটিয়ে নিচ্ছ!
কী বিচিত্র ক্রিসক্রস খেলার নাম করে
ছড়াচ্ছ সাম্প্রদায়িকতার বাষ্প আর
গর্তে থাকা মুষিকের ছায়া!

3 thoughts on “আলখেল্লার অন্ধকার

  1. বেশ কিছুদিন পর আপনার কবিতা পড়লাম। শুভেচ্ছা প্রিয় কবি প্রিয় ইলিয়াস ভাই।

  2. না- এর বেশি কিছুই বলবো না আজ।
    কবি নও, কচ্ছপের অধিক তুমি-
    মাথা বের করছ, আবার গুটিয়ে নিচ্ছ!
    কী বিচিত্র ক্রিসক্রস খেলার নাম করে
    ছড়াচ্ছ সাম্প্রদায়িকতার বাষ্প আর
    গর্তে থাকা মুষিকের ছায়া!৷ 

     

    ভাবাচ্ছে।  

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।