বিষণ্ন মধ্যমা

শামসুর রাহমান-কে নিবেদিত কবিতা
……………………………

আমাদের ভোর জাগে ভাষার বিকিরণে। এখানে ঢেউয়ের সামন্ত সাজায় মানুষের
সর্বশেষ পুঁজি। কানাকড়ি হাতে অকাল বৃদ্ধাও দেখেন- তার সন্তান ফিরেনি যুদ্ধ
থেকে। তার কন্যা শাদা শাড়ী পরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে বৈধব্যকে। আর কিছু
শেয়াল হুক্কা হুয়া আওয়াজে জানাচ্ছে যাদের পরিচয়, তারাই এখন স্বঘোষিত
ত্রাণকর্তা। আমরা বিভক্তির সমীকরণ ভুলে সাজাতে চেয়েছিলাম যে বাংলাদেশ
সেই রাষ্ট্রও এখন দখলদারদের লীলারাজ্য। বালি-মাটি, ঘাস-পাত, জল-পাথর
সবকিছু খেয়ে ওরা এখন দখল করতে চাইছে মানুষের পাঁজর। তীব্র বেদনায়
‘উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ’— বলে যে কবি অভিমান করে চলে গেছেন,
তাঁর মতো অনেক কবিই এখন ভুলে আছেন স্বপ্ন দেখার অনন্ত গরিমা।
কবিতার খাতায় এখন রক্তের কালোদাগ। শকুনেরা সেরে নিচ্ছে আগ্রাসনের
সর্বশেষ মহড়া। তবু যারা বেঁচে থাকতে চাইছে- তারা বলছে সরে যাও
অমাবস্যা, সরে যাও রক্ততিথির বিষণ্ন মধ্যমা।

4 thoughts on “বিষণ্ন মধ্যমা

  1. প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং সম্মান শ্রদ্ধা রইলো দুই কবি'র প্রতিই। ভালো থাকুন। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

  2. আমরা বেঁচে থাকতে চাই বাংলাদেশে মাথা উচু করে

  3. শেয়াল হুক্কা হুয়া আওয়াজে জানাচ্ছে যাদের পরিচয়, তারাই এখন স্বঘোষিত
    ত্রাণকর্তা।

    আবার ধরাও খাচ্ছে, কবি। লোভে পাপ! আর পাপে নাকি কি হয়? সেটা হচ্ছে। 

    কবির লেখার তারিফ করতে হয়। শুভেচ্ছা -সহ শুভকামনা থাকলো।     

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।