যখন হত্যাকারী ধন্যবাদের যোগ্য হয়ে উঠে

পরম যুদ্ধে অবতীর্ণ হই। রিপু হত্যার অপরাধে বনবাস উপহার পেয়েছিলেন
যে বাউল, তার কনিষ্ঠ আঙুল ধরে আমি বয়েত নিয়েছি অনেক আগেই। আর
প্রচলিত ধ্যানের সমুদ্রকে দূরে ঠেলে দিয়ে, আকাশকে বলেছি- তুমি সরে যাও
আমার মাথার উপর থেকে।

যে বাঘ মানুষ হত্যা করে, কিংবা যে সাপ সকল প্রাচীন পাপ ভুলে গিয়ে
কামড় বসায় শিশুর পায়ে, আমি তার ফণা চিনি। চিনি, একাত্তরে এই
দেশের সম্ভ্রম লুন্ঠনের জন্য এসেছিল যেসব পশ্চিমা হায়েনা- তাদের পদছাপ।

হায়েনা হত্যার উদ্দেশে যে কিশোর উঁচু করেছিল কালো ব্যায়নেট, তাকে
ধন্যবাদ দেবার জন্য আকাশে উড়তে দেখি একঝাঁক পাখি। আমি পাখিদের
ডানায় ঝরা পুষ্প ছড়াই। মৃত্যু আমার কাছে উৎসব এখন। যারা পেট্রোল
ঢেলে হত্যা করে আমার সহোদর, আমি সেইসব খুনিদেরকে হত্যার উদ্দেশে
কবিতা লিখি। সড়ক দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাবো- এটা আমারও তো
গণতান্ত্রিক অধিকার।

2 thoughts on “যখন হত্যাকারী ধন্যবাদের যোগ্য হয়ে উঠে

  1. সড়ক দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাবো- এটা আমারও তো
    গণতান্ত্রিক অধিকার। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।