মানুষের দিকে তাকালেই

মানুষের দিকে তাকালেই, আমার চোখের দিকে
উড়ে আসে একগুচ্ছ ছাই,
বৃক্ষের দিকে কান পাতলেই, বেজে ওঠে
একটি পুরনো করাতের ক্রন্দন ধ্বনি-
আর নদীর দিকে!
না, কী দেখি তা আর বলা যাবে না।

বলতে পারছি না অনেক কিছুই,
দেখতে পাচ্ছি না কবি কিংবা চিত্রশিল্পীদের
মুখ। যারা বাঁশি বাজায়, কিংবা যারা একান্তই
একলা থাকতে ভালোবাসে, তাদের জন্য আমি
সাজাতে পারছি না গাঁদাফুলের হলুদ সৌরভ।

ঢাকার যে সড়কগুলোকে নিরাপদ করার জন্য
আজ সন্তানেরা আন্দোলন করছে-
তাদের মনে করিয়ে দিতে পারছি না, প্রজন্ম হে!
ভাবো – ‘আমি বেঁচেছিলাম অন্যদের সময়ে’

অনর্থক এই বেঁচে থাকা নিয়ে যে আমরা
ভুলে যাচ্ছি ক্ষোভ,
তারা কি কখনও পরখ করেছিলাম মোমবাতির
মন! জানতে চেয়েছিলাম লাইটভালবের
বিবর্তন ধারা!

আমাদের জনপদে সূর্যগুলো আলোহীন হয়ে পড়ছে,
এই দুঃখ-গল্প আর কাউকে বলতেও চাই না।
অনেক আগেই কমেছে আমাদের বক্তাসংখ্যা,
এখন আমরা একে একে গুনছি,
কমে যাওয়া স্রোতাসংখ্যার সর্বশেষ স্রোতগুলো।

.
[ ১১ আগস্ট হুমায়ুন আজাদের মৃত্যুদিনে ]
√ নিউইয়র্ক @ ১১ আগস্ট ২০১৮

1 thought on “মানুষের দিকে তাকালেই

  1. তারা কি কখনও পরখ করেছিলাম মোমবাতির
    মন! জানতে চেয়েছিলাম লাইটভালবের
    বিবর্তন ধারা!

    আমাদের জনপদে সূর্যগুলো আলোহীন হয়ে পড়ছে। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।