ইচ্ছাময়ী

চাইবো না কিছুই
তুমি জানো তোমার সকালের
সুন্দর ইচ্ছার কাছে নতজানু মন
ইচ্ছাময়ী ঘ্রাণের বাগান
আমি একবার দুইবার তিনবার
শতবার বিচরণ করছি পবিত্র জমিনে।

আকাশের দিকে চেয়ে আছো
খানিকবাদেই বৃষ্টি হবে
নতজানু বর্ষা তোমার আরাধনায়
কেটেছে পথহারা কতো প্রহর
অখন্ড মানচিত্রের ভালোবাসা সিক্ত হ্নদয়ে
কিম্বা একটি সন্তান হবে তিস্তাপুত্র,
তোমার কোলে ইচ্ছাময়ী ফসল
আমার পানি আমাকে ফিরিয়ে দাও
চাইবো না কিছুই
ইচ্ছাময়ী ঘ্রাণের বাগান ছাড়া!

হরেক রকম ফুল ফুটবে
শিউলী গোলাপ বকুল
প্রিয়তমা,তোমায় বকুল ফুলের মালা দেবো
নাকে নাক ফুল রেশমী চুড়ি
নুপুরের রিনিঝিনি আর যখন চুল ছুঁয়ে দেবো
সাপের বেণী হয়ে যাবে তুমি,

ইচ্ছাময়ী তুমি আমার হয়ে যাও
নতুবা পুড়িয়ে দেবো তোমার জরায়ুর ক্যাম্প।

ফারুক মোহাম্মদ ওমর সম্পর্কে

সত্ত্বার নাগরিকত্ব চাইতে গিয়ে দেখি পথভ্রষ্টতা চেপে বসেছে। প্রার্থনার মতো একা তবু কেন মাথা তোলে দেয়াল? কারা দেয়াল বানায় পৃথিবীর বুকে,কারাই বা ভাঙে এই বাঁধা? দেয়াল তো আসলে মানুষেরই গল্প। লোহা, ইট আর পাথর দিয়ে লেখা। দেয়ালের ইতিহাসে সেঁটে থাকে আবেগ,রাজনীতি আর বাঁধা। আঠা ফুরিয়ে পোস্টারের মতো দেয়ালে ঝুলে থাকে ভয়, প্রতিরোধ, আত্মরক্ষা,অহমিকা অথবা অবিশ্বাসের গল্প। এখানে গদ্যের শরীরে কবিতার মন, জীবন এখানে স্মৃতি, মনে পড়াটাই ভ্রমণ। সমস্ত দেখাই যেন এক গভির অন্তদৃষ্টি। ধ্যানের মধ্যে পাওয়া এক একটি কবিতা যখন হয়ে ওঠে নিরস্ত্র জনগোষ্ঠীর অস্ত্র। তখন কবিতা হয়ে ওঠে উদ্ভাস।

10 thoughts on “ইচ্ছাময়ী

  1. কবিতার শেষ চরণে ছক্কা হাঁকিয়ে দিয়েছেন কবি মি. ফারুক মোহাম্মদ ওমর।  https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    1. ছক্কা মারলেও আপনি কেচ ধরেছেন দাদা৷

  2. সুন্দর কবিতা। শুভেচ্ছা জানুন প্রিয় কবি দা। 

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।