তুমি যদি আমার হৃদয়কে
পুনরায় সংজ্ঞায়িত করো আমি ভুলে যাবো অতীত
বলা কথা আর কষ্টের নীল কুণ্ঠ অভিঘাত।
এই চলমান জীবনের পথে
ছন্দপতনের যন্ত্রনা কতটা ক্ষত সৃষ্টি করে
তুমি হয়তো জানো।
আমি হয়তো বটবৃক্ষ হতে পারব না
শকুন্তলার সেই সলিল সমাধি
স্বপ্নহীন জীবনের মতই বেদনাদায়ক।
কংক্রিটের এই শহরে
নির্মোহ দানব কখন যে সুপ্ত দাবানল থেকে
বেরিয়ে আসবে কে জানে।
পথগুলো হয়তো এখনো শেষ হয়নি
কিছু কথা বলার আছে
কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভেঙ্গে যায় নদী।
বাগানের ফুলগুলো এখনো মরেনি
নিত্য বসন্তের নতিশীতোষ্ণ কুয়াশা
কোমল ছোঁয়ায় ভিজে দেয় হৃদয়
আমি হয়তো এখনো মোমের সেই গলিত পাহাড়
কিছুটা আগুনের তাপে ভুলে যাব সব।
বিষণ্ন শ্রাবণ ভবঘুরে সময়ের ব্যাকরণ পড়ে
হয়তো আমার দিকে ধেয়ে আসবে
তখন হয়তো প্রাচীনতম সেই প্রস্তর খণ্ডের মত স্থির দাঁড়িয়ে সেখানেই দেখবে।
তুমি আমার মনোমুগ্ধ বসন্ত বিলাস
কিংবা নিরেট বাধা হেমন্তের ফুলেল বাগান
তুলসী পারিজাত জুঁই আর রোজ।
আমি আমার অক্ষরের সংলাপে
সমর্পণ করি তুষার যুগের সেই রচনা;
তাম্র যুগের সেই কষ্টের তুমুল বেদনায়
সশ্রদ্ধ স্মৃতি যেখানে প্রবল রক্তচাপে
বিদ্রোহী হয়ে বেরিয়ে আসে যে বিপ্লব নতুন করে জেগে তোলে জীবনের এই পথ।
সেই পথে আমি আজও তোমাকে সাজাই
আমি আমার ভুলের আঁধারে ক্ষমার আঁধারে সমর্পণ করি নিজেকে।
গোধূলির সাতরঙা ঢেউ
পশ্চিম আকাশের মহাসমুদ্রে রক্তবর্ণ সূর্য
রক্তাক্ত বর্ণমালায় মৃত্যুর ঘন্টি বাজিয়ে জানান দেয় অসীমের সীমা।
আমাদের এই শিল্পীর শহরে
কষ্টের বুনো হাঁস আঁকি-বুকি এঁকে
ঘুরে বেড়ায় যেখানে সেখানে
সেই বিচ্ছিন্নতাবোধের আত্মচিৎকার অসম মুহূর্তকে
বদলে দেয় অসংখ্য লক্ষ্য বিবর্জিত আত্মা
হঠাৎ করে কাঁপিয়ে তোলে কংক্রিটের দেয়াল।
এইতো আমি
ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরিয়ে আসা বিদ্রোহী
আমি বুনতে পারি স্বপ্নের ভেতরে গেঁথে রাখা স্বপ্ন
আকাশ থেকে মেঘের পতনে
বৃষ্টিভরা অশ্রুবিন্দু থেকে রংধনু
আমি তোমার রাগ শুনে মুগ্ধ হয়ে হারিয়ে যাই।
আমি এখানেই সম্পূর্ণ…
এই আমার তৃপ্তি আমার পবিত্রতা
আমার অনন্তকাল।
.
হোসনেয়ারা সরকার হ্যাপি
আমি এখানেই সম্পূর্ণ…
এই আমার তৃপ্তি আমার পবিত্রতা
আমার অনন্তকাল। ____ শব্দ ভাবনার চমৎকার প্রকাশ।
খুব সুন্দর অনুভূতির অনেক শুভ কামনা রইল