হ্যাপি সরকার এর সকল পোস্ট

এক আশ্চর্য মায়ায় বেধেছো আমায়

happy

মায়া আর মাধুর্যে তুমি এক অনিন্দ্য জাদুকর
আমি ঠিক কবে এতটা মুগ্ধতা নিয়ে
কাউকে হৃদয়ে ধারণ করেছি, মনে পড়েনা।

প্রিয় নিয়মের বেড়াজাল ভেঙ্গে
স্রোতের বিপরীতে এসে
যদি জড়িয়ে রাখতে পার;
তোমার বাহুডোরে……

তবে হয়তো এ পৃথিবীর সকল সীমাবদ্ধতা
সকল সংকীর্ণতাকে ছুড়ে ফেলে
একক এবং অন্যতম করে অনন্তের পথে
শুধু তোমাকেই বাঁধতাম আমার যাপনে!

প্রিয়তম, কী এক আশ্চর্য মায়ায়
বেধেছো আমায়।।
তোমার প্রহরের পথে অকারণে অপ্রয়োজনে
তোমার প্রতি আমারও মুগ্ধতা
শুধু বেড়েই চলেছে কেন যে এমন হয়

কোন ফাল্গুনের স্মৃতি ধরে
হৃদয়ের গভীরে জমিয়ে থাকা বসন্তের দাবানল
নিমিষে এই পৃথিবীকে তুলেছে কাঁপন

আজকাল তোমার সাথে কথা না হলে
খুব অসহ্য ব্যথায় হৃদয়ে রক্তক্ষরণের
কি এক কষ্ট ভেঙ্গে দিচ্ছে ট্রিলিয়ন বছরের অহংকারের প্রবাল প্রাচীর
যেন আমার চারপাশে মহাসাগর শূন্যতায় হাবুডুবু
আর হবেনা পলকে ফেরা।

সমাজের চেপে দেওয়া আতঙ্ক,
বিস্মৃতির বিধি নিষেধকে তোয়াক্কা না করে চলে এসো, চলে এসো এই অনন্য বেলার পড়ন্ত বিকেলে এখানে জমা রয়েছে হাজার বছরের অতৃপ্ততা।

ভেঙ্গে চৌচির করে দাও সকল অহমিকা,
জমে থাকা জিদ, যা বরাবরই জীবনকে নষ্ট করেছে।

নতুন করে শুরু করা
নতুন করে,বেঁচে থাকার এক অনন্য প্রচেষ্টায়
আমি গ্রহণ করতে পারি হাজার বসন্ত।

চলে এসো, এ জীবনে জলস্নাত
শুভ্র এক কদম ফুল হয়ে, এখানে জমা
মহাবিশ্বের সকল অন্ধকার
এই গভীর অন্ধকারে এসে আলোয় বিমোহিত করো আমায় আমার অধরা বসন্ত।

কবিতা

ffg

স্মৃতি সময়ের বুনো পথে
জাল বিছিয়ে ছুঁয়ে যায় বিচিত্র রূপ
আত্মা কী মৃত্যুর বৈরি খেল দেখেছে
যাঁর হৃদয় ভেঙ্গে গেল, হারিয়ে গেল স্মৃতি
তাঁর কী জীবনের অধরা আলো
জনকল্যাণের উঠোনে ছড়াবে আলোড়ন!

অনেক দিন আগে
এই পথে গোলাপের স্তবক ছুঁয়ে
একজন প্রশ্ন করে, বলেছিল আমার এক
উজান ভাটার নদী আছে
সে নদীতে মাঝিমাল্লার দল বেঁধে নৃত্য করে
তারপরে আকাশের দিকে তাকিয়ে
আঙুলের ইশারায় ফিসফিস করে
কী যেন বলতে বলতে ডুব সাঁতার কেটে
অনন্ত প্রেমিক রূপে
প্রেমিকার হারিয়ে যাওয়া গল্প উচ্চারণ করে।

যেখানে পৃথিবীর সকল বিবেক
স্বাপ্নিক হয়ে চোখের জল স্পর্শ করে
যেখানে পথের ধারে কোথাও
সমুদ্রের শঙ্খচিল স্মৃতির পথে জাগিয়ে তোলে সেদিনের দিন।

এইতো স্মৃতি জীবন ক্যানভাসের পর্দা জুড়ে
এই এক অনন্য আলোর প্রভাত
ভুট্টা ক্ষেতে গভীর সন্দেহ নিয়ে
পারি দেওয়া জীবনের গান বড্ড বেসামাল।

ফোটায় ফোটায় শিশির জমে

ha

বৃষ্টি ভেজা আকাশ
একলা চলা বাতাস
কেউ করেনা কারও সাথে সন্ধি
আজকে আমি আমার ঘরে
যেনো খাঁচায় বন্দী।

বর্ষার ওই শ্রাবণ ধারা
টাপুর টুপুর জলে
ঝন ঝনিয়ে পায়ের নুপুর
উথালপাতাল করে।

মনের খাঁচায় মনের মানুষ বন্দী
কেউ কর না আমার মনে সন্ধি

আজ অবেলায় মুক্ত ঝড়ে
ফোটায় ফোটায় শিশির জমে
বেলার মাঝে অবেলা এসে
ভীড় করেছে ফন্দি
কেউ কর না আমার সাথে সন্ধি।

এইতো আমি

3179

এইতো আমি
অন্ধকারের অনন্ত সরোবর
থেকে জেগে ওঠা একখণ্ড সোনালী আলো।
কোন একদিন আমায় ছুঁয়ে যাবে
অপেক্ষার এই দৃষ্টিনন্দন দ্রাঘিমা পেরিয়ে
তুমি হয়তো দেখে নেবে আমায়।

এখন যেভাবে রয়েছে এই জল ছোঁয়া মাটি
বিস্তৃত এই সমুদ্রের জলসীমায়
কোন একদিন আবার ফিরে আসব
ফিরে আসবো অনন্ত স্বপ্নের জাল বুনে
হয়তো এখানে নেই ফসলের মাঠ
এখানে ঢেকে যাবে জীবনের গল্প গুলো
জন্ম থেকে জন্মান্তরের পথ ধরে …

যে জল ভেসে নিয়েছে আমায়
যে জল ভেসে নিয়েছে তোমায়
যে জল সাগরের বুকে চোখের কাজল মুছে দিয়ে
বেদনাত্মক জীবনের সূচনা করে।
তা একদিন গভীর ঘন মেঘ ফেরে ঢেকে দেবে তাঁর মুখ।

দিনে দিনে দিনগুলো মুছে দিক ঋণ … শুভ জন্মদিন

3125

তোমার জীবনের
একটি অপরিহার্য এবং অপরিবর্তনীয়
অংশ বলেই এইদিনটি
কখনো ভুলে যেতে পারবোনা।

তাই নিজেকে
আবিষ্কার করা এই আমি,
হয়তো কোনদিন বলতে পারবোনা
সুদূরের ওই কিংবদন্তী পথে
আমাকেই সাথে নিও,

হয়তো জোরকরে
করবোনা কোন আবদার
বলবোনা চলো ঘুরে আসি
ওই গোলাপের বন।

হয়তো বিশেষ এই দিনটি
এসেছে বলেই আজ অভিব্যক্তিতে
দিলাম তোমায় অভিবাদন

এই দিনের
সত্যিকারের আশীর্বাদ হতে
পারলে হয়তো আর
প্রয়োজন হতোনা অন্যজনম।

হৃদয়ের গভীরে
অনেক উপলক্ষ আছে
যখন তোমার বন্ধুরা
তোমার কাছে যা বোঝায়
তা প্রকাশ করতে পারে

কিন্তু জেনে নিও
তাঁদের মতো গতানুগতিক
কেউ একজন নয়;

তবে তোমার জন্মদিনে
হাজারো প্রিয় মানুষের ভীড় ঠেলে
নিও সুদূর ওই পথের পারে থেকে
তোমারেই জানায় ভালবাসা

যেখানে জানার কিছু নেই
রয়েছে, অজানা সুখের বদলে উদ্বেগ,
তাইতো সুতোহীন এই বন্ধনকে
শক্তিশালী করতে পারে

তবুও এইদিনটি
হাজার বছর অপেক্ষা হোক উত্তম
আর দিনে দিনে দিনগুলো মুছে দিক ঋণ
শুভ জন্মদিন।

সিরিজ কবিতাঃ প্রিয় সাহেব অংশ বিশেষ

3111

স্বপ্নগুলো ওই আকাশে আটকে থাকে বলেই
খুঁজিনা অন্য আকাশ
খুঁজিনা ফাইভ ষ্টার হোটেল, রেস্টুরেন্ট
মেনু কার্ডে থাকেনা দামি খাবার
বরং আপনাকে পাশে পেলে
ভালো লাগে সবুজ বন
দুরন্ত ছুটে চলা পথ
নদীর ধার আর খানিক বসে থাকা সময়ে
দুই কাঁপ রাজসিক মটকা চা।

বৃহন্নলা’র ইতি কথা

310

চাঁদ দেখেছো সদা
অবয়ব দুর্গামি চোখে
জোছনা দেখেছো, তুমি শিশিরের রংতুলি হাতে
ছুঁয়ে দেখা স্বাদ ছিলো তাঁর কবেই হয়েছে কাতর।
অকাতরে জানালার ফাঁকে
হয়ে চলে স্পর্শকাতর।

এভাবেই বন্দি শরীর
চোখের টানে ছুটে যায় লাখো মাইল চোখ
স্তব্ধ হওয়া বুক করে ধুক ধুক
প্রতিফলন ঘটিয়েছে ছুটে
মেঘের আজ পরাজিত হয়
পৃথিবীর শূন্যতায় নেমে পড়ে আলোর বিকিরণ
আশপাশে সমীরন তোলে
উর্বশী রূপ মেখে দেখা হয় তারার চলন

এ যেন আয়নায় দেখা অপরূপ সাজ
সখ্যতার ছায়া নিজেরে করেছে মোহর
অন্ধকার পৃথিবীর বুক ধূসর বর্তিকা ছেয়ে
ছুটে চলে জন্মান্তরের পথ।
জীবনের কাঠগড়ায় নেই কোন চোড়াই অলিগলি
যা কিছু ছুঁয়েছে এ রাত
চেয়েছে নতুন আলোর দানে।

আলোহীন এক পশলা ভূমি মরু উদ্যান সমেত
বৃহন্নলা’র ইতি কথা শুনেছ কি তবে
শুনে যেও সময় করে তুমি।

কবিতা

306

শান্ত এ নদী, থমকে যাওয়া জল;
তবুও নতুনের আনাগনায় থৈ থৈ পাড়
বহু শতাব্দীর পুরনো এই জলপথ
স্ব’গৌরবে বহমান স্মৃতির পরশ পাথর ছুঁয়ে
প্রকৃতির অনন্যশালী মহাকাব্য রচনা করছে।

প্রিয়

306

আলিঙ্গনের আকাশ ছুঁইয়ে
হয়তো চেয়ে দেখা
এখন আমার বৃষ্টি ভেজা দিন
বই হাতে সে দিনের পরে
মুখ ডুবিয়ে থাকা

স্বপ্ন গুলো বৃষ্টি নিয়ে
ঝরিয়ে যাবার মতো
নোনতা জলে ভিজিয়ে তোলা মুখের ছবি আঁকা
হৃদয় টা ওই দূর আকাশের প্রেমের উপত্যকা।

আসতে চাইলে আসতে পারো
জমে যাবে নুনের জলে
হয়তো হবে খুব বাতাসে মেঘের ছবি আঁকা।
তারপরে ওই মুখ ডুবিয়ে তোমায় হবে দেখা।

প্রতীক্ষা

3054

এখানে এই জানালার ফাঁকে
হাজার বছরের বয়ে বেড়ানো সোনালী স্বপ্ন
অন্তরে অন্তরে উচ্চারিত হয়
সেই কয়েক মিলিয়ন বছরে পুরনো
চাঁদের রাতে, যখন জ্যোৎস্না দূরবর্তী
জগত থেকে নেমে এসে সেই একই
জানালার ফাঁক গলে এই ঘর
এই মন আলোকিত করে মহাজাগতিক এক
অনন্ত স্বপ্নের হাত ধরে হৃদয়ে সমীরণ তুলে।

প্রতীক্ষা; কোন এক সুপুরুষের
যে কিনা জগতের সকল পাপ মোচন করে
কথা দেবে আমায়, তুমি ছাড়া কেউ নেই কিছু নেই;
আমার এই অধমৃত আত্মায়
তার উজ্জ্বল বর্ণের হাসিতে প্রাণ ফিরিয়ে দেবে
তখন হয়তো আমার উজ্জ্বল পৃথিবী
নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বল করে
নেমে আসবে সেই মানুষ পটে যার জন্য আমার লক্ষাধিক বছরের প্রতীক্ষা
যার জন্য আমার থেমে যাবে অস্তিত্বের লড়াই
আর নিশ্চিন্তে পাড়ি দেবো পৃথিবীর এই মহা পথ।

এই তো আমি

30166

তুমি যদি আমার হৃদয়কে
পুনরায় সংজ্ঞায়িত করো আমি ভুলে যাবো অতীত
বলা কথা আর কষ্টের নীল কুণ্ঠ অভিঘাত।
এই চলমান জীবনের পথে
ছন্দপতনের যন্ত্রনা কতটা ক্ষত সৃষ্টি করে
তুমি হয়তো জানো।

আমি হয়তো বটবৃক্ষ হতে পারব না
শকুন্তলার সেই সলিল সমাধি
স্বপ্নহীন জীবনের মতই বেদনাদায়ক।

কংক্রিটের এই শহরে
নির্মোহ দানব কখন যে সুপ্ত দাবানল থেকে
বেরিয়ে আসবে কে জানে।

পথগুলো হয়তো এখনো শেষ হয়নি
কিছু কথা বলার আছে
কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভেঙ্গে যায় নদী।

বাগানের ফুলগুলো এখনো মরেনি
নিত্য বসন্তের নতিশীতোষ্ণ কুয়াশা
কোমল ছোঁয়ায় ভিজে দেয় হৃদয়
আমি হয়তো এখনো মোমের সেই গলিত পাহাড়
কিছুটা আগুনের তাপে ভুলে যাব সব।

বিষণ্ন শ্রাবণ ভবঘুরে সময়ের ব্যাকরণ পড়ে
হয়তো আমার দিকে ধেয়ে আসবে
তখন হয়তো প্রাচীনতম সেই প্রস্তর খণ্ডের মত স্থির দাঁড়িয়ে সেখানেই দেখবে।

তুমি আমার মনোমুগ্ধ বসন্ত বিলাস
কিংবা নিরেট বাধা হেমন্তের ফুলেল বাগান
তুলসী পারিজাত জুঁই আর রোজ।

আমি আমার অক্ষরের সংলাপে
সমর্পণ করি তুষার যুগের সেই রচনা;
তাম্র যুগের সেই কষ্টের তুমুল বেদনায়
সশ্রদ্ধ স্মৃতি যেখানে প্রবল রক্তচাপে
বিদ্রোহী হয়ে বেরিয়ে আসে যে বিপ্লব নতুন করে জেগে তোলে জীবনের এই পথ।

সেই পথে আমি আজও তোমাকে সাজাই
আমি আমার ভুলের আঁধারে ক্ষমার আঁধারে সমর্পণ করি নিজেকে।

গোধূলির সাতরঙা ঢেউ
পশ্চিম আকাশের মহাসমুদ্রে রক্তবর্ণ সূর্য
রক্তাক্ত বর্ণমালায় মৃত্যুর ঘন্টি বাজিয়ে জানান দেয় অসীমের সীমা।

আমাদের এই শিল্পীর শহরে
কষ্টের বুনো হাঁস আঁকি-বুকি এঁকে
ঘুরে বেড়ায় যেখানে সেখানে
সেই বিচ্ছিন্নতাবোধের আত্মচিৎকার অসম মুহূর্তকে
বদলে দেয় অসংখ্য লক্ষ্য বিবর্জিত আত্মা
হঠাৎ করে কাঁপিয়ে তোলে কংক্রিটের দেয়াল।

এইতো আমি
ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরিয়ে আসা বিদ্রোহী
আমি বুনতে পারি স্বপ্নের ভেতরে গেঁথে রাখা স্বপ্ন
আকাশ থেকে মেঘের পতনে
বৃষ্টিভরা অশ্রুবিন্দু থেকে রংধনু
আমি তোমার রাগ শুনে মুগ্ধ হয়ে হারিয়ে যাই।
আমি এখানেই সম্পূর্ণ…
এই আমার তৃপ্তি আমার পবিত্রতা
আমার অনন্তকাল।

.
হোসনেয়ারা সরকার হ্যাপি

আমার সাথে বন্ধুত্ব করো না

f-BG20d

আমার সাথে বন্ধুত্ব করো না,
আমি প্রতিদিন নিজের সাথে যুদ্ধ করছি।
এবং আমি মানুষকে দূরে ঠেলে দিই,
এমনকি তাঁর জন্য আমি দুঃখিত না।

তুমি যা ভাবছ আমি সে নই,
আমি ঠান্ডা, অন্ধকার, এবং দূরের বরফে ঢাকা চকচকে অসীম পাহাড়
হয়তো আমার বোঝা তুমি টানতে পারবে না বলে বদলে ফেলবে পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য।

জানি তুমি আমার এই সামান্য কথা বুঝবে না।
তাই ধীরে ধীরে নিজেকে আড়াল করছি
আমি শুধু নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করছি।
অন্যের প্রতি আমার কোনো আক্ষেপ নেই দুর্বলতা নেই আকৃষ্টতা নেই

আমি তোমাকে সতর্ক করছি,
আমার সাথে বন্ধুত্ব করবে না।
আমি যখনই কোথাও সামান্য স্থায়িত্ব গ্রহণ করি
সেই সীমা কখন অতিক্রম করবে তা স্থির করে আমার মন। এমনও হতে পারে আমি তখনই চলে যাই।

আমি আমার নিজের সমস্যার সম্মুখীন হই না,
আমি শুধু অদৃশ্য হয়ে পালিয়ে যাই।
আমার চোখের পলক ফেলার আগে তোমার দৃষ্টির বাইরে

আমি মেয়ে নই, কিংবা কোনো সংকটাপন্ন হৃদয় না
আমার তোমার সাহায্যের দরকার নেই।
দরকার নেই অতীব আবেগের যেখানে রক্ষার চেয়ে বিনাশের প্রভাব বেশি।

আমি ঘুমাচ্ছি না প্রিয় বন্ধু আমার,
আমার তোমার ঐন্দ্রজালিক চুম্বনের দরকার নেই।
আমি রাজকন্যা নই,
আমার প্রিন্স লাগবে না।
আমি ভিখারি নই,
আমি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারি।

আমার সেই সময় ফুরিয়ে যায়নি
যখন আমি দাঁড়িয়ে চারদিকে তাকিয়ে বলব
এই যে দেখো আমি সেই,
সেই আমি আজ তোমাদের মাঝে।

কিন্তু একটা জিনিস আমার ভয় লাগে,
কারো মন ভেঙ্গে যেতে ভয় পাই।
কারণ আমি জানি অনুভূতি কি,
বিচ্ছিন্ন হওয়ার যন্ত্রনা আমার হৃদয়েও রয়েছে আমিও হৃদয় ভাঙতে পারি গড়তে পারি
জানার মধ্যে অজানা কি সেটা জানিনা।

একদিন তোমাকে দেখেছিলাম

554405

আমি তোমায় প্রথম দেখেছিলাম
প্রত্যুষের এক বালুকাবেলায়
চিরসবুজের ধ্যানমগ্ন দুপুরে…

তখন আমার প্রথম সময়
টগবগে তরুন বেলা,
অস্তিত্বের ক্ষুদ্র একটি লড়াই চলছিল
আমাদের জগজ্জীবনকে মজবুতও
আরও উজ্জ্বল করার প্রথম প্রচেষ্টা।

সমবেত একদল
তরুণ, দামাল ছেলেমেয়ে
ইউনিভার্সিটির আর দশটা
সংখ্যার মতই আমি একজন সংখ্যা মাত্র

তবুও দৃঢ়চেতা চোখ
আর আপন ব্যক্তিত্ব নিয়ে
আলাদা সত্তায় নিজেকে
তৈরি করেছি এক অনবদ্য মানুষরূপ

তখন নিজেকে চেনা যায়
অজস্র সংখ্যার ভিড়ে
সম্ভবত তখন আমি আরেকটি
সংখ্যায় আবদ্ধ ছিলাম না

হতে পারে সিনিয়র
আর জুনিয়রদের মাঝে
আমি একজন নিজস্ব রূপ
যার প্রতিচ্ছবি অনেকেই
এরইমধ্যে অবলোকন করে।

আমরা ক’জন শক্তিমান
পৃথিবীর অনিবার্য গৌরবে
কূড়তেছিলাম প্রীতির ফসল

ক্ষনিকের সে দুপুর’বেলা
অজস্র ধুলিলিপি ভেদ করে
অনন্য চোখ খুঁজে নিল সুদর্শন যুবক।

ক্ষনিকের চোখ ছুঁয়ে যাওয়া
সেই স্মৃতির আঁকড়ে একদিন
তার নামটি লিখে ছিলাম
হৃদয়ের নশ্বর অস্তিত্বে

যেখানে বারবার অবচেতন মন
দাগ কেটেছিল, নতুন একটি স্বপ্নের
ধুলোর জোয়ারে ভেসে
সাহারার বুকে

সেদিন যে তুফান এসেছিল,
তা আজ হৃদয়ের
শেষ পংক্তিমালায় ধূসর
প্রেমের চিহ্ন একে পুনরায়
জেগে তোলে সুর

পৃথিবীর সব হিসাব পরাস্ত
ঠিক তার কয়েক বর্ষ পর
এ যেন উত্তর কিংবা দক্ষিণ মেরুর
বরফ গলা জল

এই হৃদয়ে সেদিন যে
নামটি লিখে ছিলাম
খেয়ালী অন্তরের উদ্দেশ্যহীন স্মৃতিতে
যে ঢেউ খেলা করেছিলো
তা যেন কঠিন শিলালিপির বুকে
খোদাই-করা জন্ম আর জন্মান্তরের
অমর গাঁথা অজেয় প্রেমকাব্য

তখন আমার লজ্জা মাখা
রুপ লাবণ্যের মুখ
শৈশব কৈশোর পেরিয়ে আসা কিশোরী-তরুণী
সদ্য ফোটা ফুল
সদ্য ফোটা ঢেউয়ের বুকে
কি যেন এক ভুল।
তখন আমি পদ্ম গোলাপ জল
তখন আমার প্রথম লাগা ঢেউ
সেই ঢেউয়েতে হৃদয় উত্তল
আর জানেনা কেউ

বিস্তৃত জীবনের অন্ধকার
ভেদ করে বোহেমিয়ান জীবনের পথে
নিজেকে ভেঙ্গে আবার নতুন করে
গড়ার বাসনায় লড়াই চলছে…

স্পষ্টতই জীবনের সেই
বাতিঘর এখন কোন এক
ঘূর্ণিঝড়ে বেসামাল

যেখানে দৃষ্টির সীমানায়
শূন্যতার জিওগ্রাফি নিজেকে
আরো স্পষ্ট করে
নিজেকে আরও নতুন করে
গড়ার বাসনায় উত্তরোত্তর
ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলছে।
❤❤❤

তৃতীয় জীবন

897a0-na

হে আমার মহাকালের তরুণ চিত্ত
চোখ বন্ধ করো
দেখে নাও তোমাকে,
কিম্বা তোমার অতীত আর ভবিষ্যতের চিত্তলেখা।

এখানে, প্রতিদিনের সূর্যাস্ত আর
সূর্যোদয় দেখছো তুমি
কিভাবে দিন রাত ঘন্টা সেকেন্ড
মহাকালের যাত্রা’ধারায় বয়ে চলেছে।

আমরা আমাদের
এই ছুটেচলা পথে পড়ন্ত বিকেলের
সোনালী মেঘের সাথে নিজেদের
সোনালী সৌন্দর্য্যের
অনুপস্থিতি লক্ষ্য করছি।

আকাশের মেঘ আর সমুদ্রের
কোলাহল পেছনে ফেলে
আমরা প্রত্যক্ষ করছি
চাঁদের বিকীরণ, মার্চের রক্তাক্ত ঘূর্ণিঝড়
কসমিক অররা ও তাঁর রেডিয়েশন।

আমাদের এই দূরবীন চোখে
বর্তমান থেকে ভবিষ্যতের দিকে
হামেশাই তাকিয়ে ভেবেছিলাম।

ছানিপড়া এই চোখের পাতার নিচে
কোনো একদিন চাপা পড়বে
পাহাড়ের গর্ভে জন্ম নেয়া অগ্নিগিরি
আর তা বাঁধাগ্রস্থ করবে
মানুষের অন্তরে বেড়ে ওঠা বিষাদগ্রস্ত রাডার।

আমরা একে একে হারিয়ে যাচ্ছি
সময়ের অন্ধকার জালে,
আমরা ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছি
ঘুটঘুটে সময়ের অন্ধকার জলে
আমরা আগুন আর বাতাসে ভেসে
ব্রহ্মাণ্ডের মহাশূন্যে এক আজনবি এস্ট্রোনট।

আমাদের একেকটা শব্দ
হাজারো আলোকবর্ষ পেরিয়ে
আবার ও ধেয়ে আসছে আমাদের দিকে;
আমাদের শুরু এবং শেষ একই মাটিতে…

আমাদের রচনা অথবা রচিত ইতিহাসে
আমরাই চাপা পড়ে উপহার হবো
নতুন ইতিহাসের যার রচয়িতা
এক আননৌন থর্ড।

.
শুক্রবার আগস্ট 21 2020 রাত: 8:25

পাড়ি দিতে চাই অনন্তকাল

23884752

পৃথিবীর মুক্ত আকাশ পানে চেয়ে আছি,
কোন একটি পথ আমাকে অতিক্রম করতেই হবে।
যে পথ বেয়ে পৌঁছে যেতে পারব
আমার আপনার অস্তিত্বের দিকে।
পৃথিবীর সুসুপ্ত সেই পথ ধরে
মুক্ত সেই আকাশ পানে তাকিয়ে
বলতে পারবো, এইতো সেই কাঙ্খিত স্থান
যেখানে আমার আপনার জগৎ
উজ্জ্বলতায় পরিপূর্ণ হয়ে
সাজিয়ে দিয়েছে নতুন একটি বার্তা
আমি সেই বার্তার দীপজ্যোতি নিয়ে
পাড়ি দিতে চাই অনন্তকাল।