পুতুল খেলার দিনগুলো
তোমার জন্য লিখতে পারি
এক পৃথিবী …
হঠাৎ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি এলো সবুজ পাতায়,
রঙিন ছাতায়
চোখে তখন অন্য ছবি
এঁকে নেব স্বপ্ন ভারী
আমি এখন তোমার কবি ;
আমি তখন ছোট্ট ছিলাম
মেঘের সাথে খেলতে যেতাম
আকাশ পাড়ায়,
মেঘ যে তখন সাগর হত
অভিমানে নিতাম আমি
আড়ি …
আড়ি …
আড়ি ….!
সাগর তখন পরিয়ে দিত
নীল আঁচলের শাড়ি,
আমার তখন একলা লাগত ভারী ——-
মেঘকে আমার আকাশ বুকেই লাগত ভারী বেশ …
লাগত ভীষণ ভালো,
সমুদ্র সৈকত নয়!
জ্যোৎস্না আঁচল বিছিয়ে দিয়ে
মেঘ আমায় ছোট্ট একটা
সংসার দিল —
আপন হাতে গুছিয়ে
ধুলো বালি খেলার ছলে..
তেঁতুলখোলায় দু’মুঠো চাল
ফুটিয়ে নিতাম মিছামিছি …
আনাজ পাতি
কতকিছু সারি সারি
দা- বঁটি,
থালা বাটি
ঘটি বাটি,
পুতুল খেলার দিনগুলোয়
অন্য রকম আনন্দ ছিল
বুঝতে পারি।
যেন একটি নীড়ে দু’টি পাখি
ভালোবাসায় মাখামাখি …
এমন নাকি —-
ওই বয়সে ভালোবাসার বুঝিটা কি ?
ছোট্ট বেলার ———
পুতুল খেলার
সেই দিনগুলো আজ হারিয়ে গেছে কই –?
আসলেই কি কখনোই সেই পুতুল খেলার বয়সে —-
মেঘ বা সাগর নামে
কেউ ছিল ?
জানা হয়নি …!
আমি এখন লিখতে পারি
এক ডায়েরি,
এক পৃথিবী …
সত্যি যদি এমন হতো
পুতুল খেলার দিনগুলোতে তোমায় পেতাম —-
মেঘ,
মেঘ পিয়াসী মনের রাজ্যে
হতাম আমি মিথের রাণী
তোমার জন্য !
02.04.2019
পুতুল খেলার দিনগুলো আমাদের নস্টালজিক জীবনের সম্পদ।
অভিনন্দন প্রিয় কবি হাসনাহেনা রানু। শুভ সন্ধ্যা।
মেঘ পিয়াসী মনের রাজ্যে
হতাম আমি মিথের রাণী
তোমার জন্য !
দারুণ কবিবোন। শৈশব আমার কাছে সব সময় ভালো লাগে। আর শৈশবমাখা লিখা তো আরও অসাধারণ। বাহ্।
পুতুল খেলার দিনগুলো পড়লাম প্রিয় রানু দি। ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো।
চমৎকার! শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।
কী সরলতাই না জীবনে ছিলো এক সময় !! শুভেচ্ছা রানু আপা।
স্বাপ্নিক কবিতা। কখনও আর ফেরার নয়।