সমুদ্রের ঢেউ ভেঙ্গে ভেঙ্গে দিগন্ত ছুঁয়ে যাওয়া
সবুজ ব- দ্বীপের অচেনা এক ছবি এঁকেছি –
জীবনে ফেলে আসা ডায়েরির সাদা পাতায়:
আমি জলে ভাসা ফুল
কচুরিপানা, স্রোতের শ্যাওলায় ভেসে যাওয়া সময়ের খেয়াযানে এ জীবন করেছি দান !
সন্ধ্যা তারার চোখ গলে এলোমেলো বাতাসে প্রতিদিন ঝাঁক ঝাঁক বুনো বালিহাঁস উড়ে যায় সুদূর প্রবাসে,
আমাকে ডাকে ওদের চলার পথের সঙ্গী হতে
আমি যেতে পারি না, বিরহী কষ্টরা হুহু করে বেড়ে যায় এ বুকে;
পাহাড়ি পথের পাশে বুনো গোলাপের ঝাড়ে আমার এক বিকেলের অপেক্ষা আছে।
এখন কবিতার নতুন দিন শুরু হয়েছে
শব্দরা নিত্য নতুন পোশাক পরছে; আমি কবিতাকে পৃথিবীর দ্বার প্রান্তে পৌঁছে দিতে চেয়েছি !
গভীর রাতের জমকালো পার্টিতে হুইস্কির গ্লাসে কবিতা বরফ টুকরো হয়ে ভেসে ওঠে:
কবিতা তখন অভিমানে শ্রাবণের সেতার বাজায়;
সুরের মূর্ছনায় আধো ঘুম আধো জাগরণে কবিতা রঙিন নেশাময় স্বপ্ন হয়ে ওঠে –
নিঃসীম নৈঃশব্দ্য জুড়ে ব্যালকনির দক্ষিণা জানালা গলে
ভেসে এলো একা একা এক গভীর রাত্রি : আমার ঘুম কাতুরে স্বপ্ন ঘুমে –
আমি তাকে চিনতে পারি,
একদা পৃথিবীর কোলাহল ছেড়ে ভিন্ন দেশে সমুদ্র স্নানে মেতে উঠেছিল নীরব এক দীর্ঘ রাত্রি।
এ রাত্রিটা সেই রাত্রি
বারবার আমার কবিতার কাছে এসেছে হাজার ভীড় ঠেলে,
তুষারে ঢাকা ছিল একটা দুরন্ত কবিতার লাশ !
“ফেরার পথে একগুচ্ছ ঘাসফুল কবিতার শব বুকে নিয়ে ভীষণ কাঁদছিল:
একটা নীল ঘাসফুল শবের বাহু আঁকড়ে ধরে কাঁদছে কী ভীষণ!”
এই কবিতাটা নাকি ভীষণ রোমান্টিক আর স্মার্ট ছিল
এখনই শবের মুখে ভদ্র আর কোমল ভাব দৃশ্যমান হয়েছে,
ওদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে একটা সাদা সারস,
চোখে মুখে অবিশ্বাসের ছায়া অদৃশ্যমান ! মনে মনে ভাবছে দূর ! এদের হলো টা কী ? এতো আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু কবিতা,
রিকোর্দো ? দ্যাখো আমি এসে গেছি তোমার বন্ধু ডোরা;
সাদা ঘাসফুল বলল,বোকার মত ওকে ডাকছো কেন?
দ্যাখো ও মারা গেছে, এটা শব কোন জীবন্ত কবিতা নয়। তুমি ভুল করছো ?
হঠাৎ ডোরা চমকে যেয়ে বলল, কী বলছ? এটা একটা ডেডবডি ?
আমি আর এসবের মধ্যে জড়াতে চাই না ।
পুলিশ আসবে পোষ্টমর্টাম হবে যেতে হবে লাশ কাটা ঘরে –
ওহ্ বাবা ! কত ঝক্কি ঝামেলা –
নীল ঘাসফুল বলল, এ্যায় তুমি না রিকোর্দোকে বন্ধু বলে দাবি করলে ? অথচ এখন তুমি…. ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল ডোরা বলল, হ্যাঁ, রিকোর্দোর শবটা কেমন বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে না ? আরে ওতো আমাকে না পেয়ে সুইসাইড করেছে বিশতলা হাওয়ায় ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে। কে বলেছে ওকে মরতে ? ডোরা কুঁকড়ে কাঁদতে কাঁদতেই বলল, কিছুই পাইনি চেয়েছি যা —- শুধু ব্যথায় পেয়েছি মনে মনে !
স্বতন্ত্র টাইপের কবিতা। শেয়ার হওয়ায় আপনাকে অভিনন্দন কবি হাসনাহেনা রানু।
শুভ সকাল।
চলুক, চেষ্টা প্রচেষ্টা। কবিতা পৌঁছে যাক পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে।
শ্রদ্ধেয় কবি রিয়া দিদির জন্য শুভেচ্ছা শুভকামনা।
অভিনন্দন কবি আপা। আপনার দেখাই পাওয়া যায় না। শুধু লেখা পাই।
চেয়েছি যা, পাইনি কিছুই- শুধু ব্যথা পেয়েছি মনে মনে।
শিরোনামের সাথে কাব্য ভাবনাকে অসাধারণ মনে হলো কবি বোন হাসনাহেসা রানু।
শুভেচ্ছা রেখে গেলাম আপা।
♫♪ যা পেয়েছি আমি তা চাই না
যা চেয়েছি কেন তা পাই না।
ছেড়া ছেড়া ফুলে গাঁথা মালা
ভুলে পুরোনোকে কেন ভুলে যাই না। ♫♪
সুন্দর।