রোজ একটা করে সন্ধ্যা ডুবে যায় সমুদ্র বুকে —
হোক সে নীড়ে ফেরা পাখির সন্ধ্যা,
গোলাপ ফোঁটা সকাল
ধূসর গোধূলি’র ধোঁয়ায় ডুবে যাওয়া মুহুর্ত;
কিম্বা বেলা শেষের শেষ বিকেলের নিয়ন আলোর মুছে যাওয়া সময় —
তখনো পাখিরা ব্যস্ত ছিল সোনালী বিকেলের রৌদ্রের ভিড়ে।
রোজ রোজ ভরা সন্ধ্যার মৃত্যু
এত ভাঙন চারিদিকে, —–
আজ সব পাখিরা নিখোঁজ হয়েছে
গোধূলি লগ্ন মুছে যাওয়ার ক্ষত হৃদয়ে;
আহা! দুঃখের এ কোন্ দিন এল
সমুদ্রে মরা চাঁদের জ্যোৎস্না ,
আর একটাও সন্ধ্যা নেই, শোকার্ত দিন :
এবার রাত ডুবে যাবে।
বিমর্ষ জ্যোৎস্না; বিষ ব্যথায় ভরা মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ ঈশ্বরের পৃথিবীর চৌকাঠে
তখনো বাকি ছিল, কিছু জীবনের কথা বলছি
আহত বৃষ্টির ফোঁটা — গোলাপের ঠোঁট গলে শাদা রক্ত ঝরছে !
রোজ সন্ধ্যা, রোজ একটা করে রাতের মৃত্যু
এ মৃত্যুর মিছিল অনেক দীর্ঘ :
মানুষ মরছে অহরহ
অদৃশ্যের এই আমি মৃত্যুহীন বেঁচে থাকা সম্ভব নয়,
আমি ও মৃত্যুর অন্তর্গত ;
এত মৃত্যু মিছিল থামাতে গিয়ে থরথর কেঁপে উঠেছি এই আমি।
রচনা কাল: ২২.০৮.২০২০
নৈঃশব্দ্যের শূন্যতায় মৃত্যুই সত্য। সুন্দর বলেছেন প্রিয় কবি হাসনাহেনা রানু।
বেশ ভাবনাময় কবি আপু
খুব ভালো লাগলো ।