ধুপের আগুন যায় না দেখা থাকে শুধু ধোঁয়া
গন্ধ নেই অন্তর পোড়ায় থাকে শুধু জ্বালা
ধুপের আগুন লাগিয়ে দিলে এই মনে
সেই আগুন জ্বলছে নিশিদিন এই প্রাণে।
বনে বনে দাবানল নাচে তালে তালে
পুড়ে কত স্বপ্ন সবুজের ডালে ডালে
আকাশের নক্ষত্রগুলো অবাক চেয়ে রয়
কোথাকার পাগলা হাওয়া উজান ধেয়ে বয়।
দেবদাসের মত ঢালিনী শরাবের জল
প্রেমানল বুকে কত জ্বলতে পারিস জ্বল
হেরিলাম পোড়া চোখে তোমার যত ছল
সেই যাতনায় এই বুকে ফুটে রক্তকমল।
আমি তো নির্বাক পৃথিবীর আবহ
সয়ে যাই কোটি চৈত্রের দাবদাহ
মরুর ধূসর অন্ধকার ধূলিঝড়ের উৎপাত
জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত।
শ্রাবণের মেঘগুলো ঝরে পরে কান্নায়
পাহাড়ের বিরহ কবিতা দেখেছি ঝর্ণায়
তুমি তো দেখেছ জ্যোৎস্নার রং কত মধুময়
আমি দেখেছি কত বেদনায় ভরা শশীর ক্ষয়।
6 thoughts on “দহন”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
বেশ ছন্দময় দহন পড়লাম কবি দা
অনেক শুভেচছা রইল————
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
কবিতার লাইন গুলোন এমন সুন্দর করে সাজানোর কৌশল নিঃসন্দেহে অসাধারন। শুভেচ্ছা জানবেন কবি। ভালো এবং নিরাপদে থাকবেন। ঈদ মোবারক।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রিয় মুরুব্বী। ঈদ মোবারক।
লেখা পড়ে বিমোহিত হলাম।
হার্দিক ধন্যবাদ ও ঈদের শুভেচ্ছা।