প্রিয় বাবা!
তুমি কী শুনতে পাচ্ছো?
তোমার মেয়ে তিরিশি জৈন আটকা পড়ে আছে জঙ্গিদের হাতে
আমি কী আর কখনো তোমাকে বাবা বলে ডাকতে পারবো?
আমরা আবিন্তা, ফারাজ এবং ইশরাত বলছি,
ওরা আমাদের সমস্ত শরীরে ছুরি বসিয়েছে অনবরত
একজন বলছে, যেখানে নড়ে সেখানে ছুরি মার,
বাংলার ১৬ কোটি মানুষ, আপনারা কী শুনতে পাচ্ছেন?
কোটি কোটি মানুষের মাঝে আমাদের হত্যা করা হচ্ছে।
আমরা মারিয়া, সিমোনা এবং মারকো বলছি,
আমরা গুলিবিদ্ধ ! রক্তাক্ত !!
ইতালির প্রেসিডেন্ট সাহেব, আপনি কী শুনতে পাচ্ছেন?
আমি সিনোমা মন্টি বলছি,
আমি গুলিবিদ্ধ কিন্তু আমার গর্ভে ৭ মাসের সন্তানটি এখনো জীবিত আছে,
পেটের ভেতর ও নড়ছে, ওর ক্ষুধা পেয়েছে, ওকে বাঁচান ! অন্তত ওকে বাঁচান !!
আমরা নাদিয়া, আদেলে এবং রোজি বলছি,
আমাদের বুক গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে
তারপর !
তারপর আমাদের গলা কেটে ফেলেছে কিন্তু কয়েকটা রগ কাটতে পারে নি,
প্রিয় প্রেসিডেন্ট সাহেব,
আমাদের সন্তানেরা যেন অশ্রুর রঙ আর রক্তের রঙের মিশ্রণ না দ্যাখে,
তার অনুরোধ জানিয়ে গেলাম,
এ রঙ সহ্য করার মতো চোখ মানুষের নেই।
আমরা কাপেল্লি, ভিনসেনজো এবং বিরোলি বলছি,
গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাড়িটি
আজ অন্যান্ন দিনের মতো নয়,
এখন পুরো ফ্লোরে ২ ইঞ্চি রক্তের প্রলেপ
একটু আগে আমাদের সমস্ত শরীর বিষাক্ত বেয়োনেট দিয়ে
ক্ষত বিক্ষত করা হচ্ছিল – এখন ! এখন আমরা……
আমরা তানাকা, ওগাসাওয়ারা, শাকাই, কুরুসাকি,ওকামুরা
শিমুধুইরা এবং হাশিমাতো বলছি,
জাপানের প্রিয় সম্রাট মহোদয়, আপনি কী শুনতে পাচ্ছেন?
ওরা মুসলিম নয়, ওরা জঙ্গি, ওরা পবিত্র রমযান মাসের
ইফতারির সময় আমাদের গুলি করলো !
তারপরও তলোয়ার এখনো আঘাত করে ছলেছে !!
জঙ্গি নির্মূলের জন্য একটি বড় অঙ্কের টাকা বরাদ্দ রাখার অনুরোধ রেখে গেলাম,
আমাদের সন্তানদের বলে দিয়েন, বেশি দূরে নয়, ওই বাংলার আকাশেই আমরা আছি !
আমরা ওসি সালাহউদ্দিন এবং রবিউল বলছি,
মহামান্য আদালত, আপনি কী শুনতে পাচ্ছেন?
যেসব জঙ্গি গ্রেপ্তার হবে তারা যেন কারাগার থেকে বের হতে না পারে,
প্রিয় আই ই জি স্যার, আপনি কী শুনতে পাচ্ছেন?
জঙ্গিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী রেখে গেলাম
আমরা মৃত্যু পথযাত্রী আপনার অনুগত অফিসার।
আবাহনের জন্য ধন্যবাদ মি. ইলহাম। শুভ সন্ধ্যা।
সময়টি আমার মনে আছে ইলহাম ভাই। খোলা চিঠির কথা আমারও।
শুভেচ্ছা জানবেন কবি।
ভালো সময় আসবেই কবি ইলহাম ভাই।
এসব বন্ধ হবে কবে?
ভাল থাকুন কবি ইলহাম দা।
দাবি তাগজের পাতায় রেখে গেলে চলবে না। রাস্তায় এসে এই কথা গুলোন বলুন।