বিচ্ছিন্ন এক উপদ্বীপে অপেক্ষারত প্রেমিকা
জ্যোছনা রাতে ময়ূর পালক কলম তুলে নেয়।
প্রেমিকের তরে একটি একটি করে সংলাপ
লিখে যায় প্রবাল আর ঝিনুকে মোড়া পাতায়।
তার কাপড়ে ঝলমলে তারা, আঁচলে রামধনু,
খোলা চুল বাতাসে ভাসে, কানে মোতির দুল।
কাজল কালো চোখে হাসির বিদ্যুৎ খেলে যায়।
শঙ্খ প্রবালের হার গলায় দোলে, নাকে নোলক,
দু’ হাতে লাল মোতির চুড়ি আগুণ ঝলসায়।
তার রূপে মুগ্ধ হয়ে রাত পাখিরা ডানা ছড়িয়ে
বসে থাকে তার পাশে, চুপচাপ, তারাও জানে।
লেখা শেষে প্রেমিকা যত্ন করে মুড়ে নেয় পাতা,
চিঠিটি বেঁধে দেয় শুভ্রবসন লক্ষী পেঁচার পায়ে।
সে উড়ে চলে যায় বহুদূর, সারা রাত পার করে
ভোরের উজানে সেই তার ঘরের জানালায় বসে।
ঘুমে ঢোলা প্রেমিক চোখ মুছে হাতে নেয় সে চিঠি
তাতে লেখা, “সুবর্ণ গোলক সে শুধু তোমারি তরে।”
কাজল কালো চোখে হাসির বিদ্যুৎ খেলে যায়।
শঙ্খ প্রবালের হার গলায় দোলে, নাকে নোলক,
দু’ হাতে লাল মোতির চুড়ি আগুণ ঝলসায়। ___ চমৎকার উপমা প্রিয় কবিবন্ধু।