অটোপসি

যে পাহাড়ে যাব যাব করে মনে মনে ব্যাগ গুছিয়েছি অন্তত চব্বিশবার-
একবার অটোপসি টেবিলে শুয়ে নেই-
পাহার, ঝর্ণা, জংগলের গাছ, গাছের বুড়ো শিকড়- শেকড়ের কোটরে পাখির বাসা;
সবকিছু বেরিয়ে আসবে শরীরের ভেতর থেকে,
বুকের মধ্য দিয়ে বের হয়ে আসবে হামিংবার্ড আর রক্তে সাঁতরে বেড়াবে ডলফিন পরিবার।

একবার অটোপসি টেবিলে শুয়ে নেই –
গলগল করে পেট থেকে-
গলার নালী পুড়ে পুড়ে মুখ দিয়ে
বেরিয়ে আসবেঃ
অতি সতর্ক থিসিস পেপার, যত্নের প্রেমিকাকে লেখা চিঠিপত্র, দুমড়ে যাওয়া বাজারের ফর্দ, কবিতার খসড়া, পুণ্যবতী চাঁদ, পায়ে না লাগানো সমুদ্রের জল-বেলাভূমি, আর সতেরো ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র।

একবার আসুক অটোপসি রিপোর্ট-
মর্গের ডোম জানবে নিশ্চয়ই;
হৃদপিণ্ডের কোণ প্রকোষ্ঠে সঞ্চিত রক্ত আর কোণ প্রকোষ্ঠে ভালোবাসা!
ভালোবাসা ব্যাপারটা ও’ বুঝেছে, অলিন্দ নিলয় কেটে-কুটে।
কারণটা জানা দরকার খুব,
ঠিক কীভাবে মরবো সে ব্যাপারে কিছুই ভেবে উঠতে পারি নাই এখনো।

13 thoughts on “অটোপসি

  1. আমার মতো অভাজন আপনার কবিতার মূল্যায়ণ হয়তো করতে পারবে বাট তূল্যমান আলোচনা করতে পারবে না শ্রেফ মুগ্ধতা ছাড়া। অভিনন্দন কবি মি. জাহিদ অনিক। :)

    1. মুরব্বী, কবিতার মান বিচার থাকুক না—- সে না হয় আমাদের কাজ না। 

      আপনার মুগ্ধতা পাওয়া মানেই মন খুশী। 

      ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন 

  2. মৃত্যু যে-ভাবেই  হোক-না-কেন, মৃত্যু কিন্তু অবধারিত। সবাইকেই মরতে হবে প্রিয় কবি। 

    আপনার কবিতায় ভালোবাসা রেখে গেলাম।      

  3. মুগ্ধপাঠ কবি ভাই। এমনিতেই আপনার কবিতা আমার কাছে সব সময়ই ভালো লাগে। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

  4. যতোবার পড়ি  । ততবার ই ভালোলাগা ছুয়ে যায় ।

    ধন্যবাদ প্রিয় কবি

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।