পৃথকীকরণ

পৃথকীকরণ

বেশ কিছুদিন আগেই আমার বিষণ্ন বিকেলটা খোয়া গেছে
আর এখন উচ্ছেদ হতে যাচ্ছে সন্ধ্যার লালিমা
আমি জানি এরপর কী……
এরপর জেগে থাকবে শুধু অন্ধকার রাতের কালিমা!

এখন কী করবো আমি…?
কিই বা করার আছে আমার?
তসবি হাতে দাদার ছবিটা আলমারি খুলে বের করে আনবো?
দাদীর কথা কিছুই মনে পড়ে না
তখনো স্মৃতির বন্দরে কোনো জাহাজ নোঙর ফেলেনি!

মাঝে মাঝে কিছু পিপাসার জল বেখেয়ালি হাসে
আমার হাজার হউক আহাজারি তবুও আমি ভালোবাসি
হাসি
ইচ্ছে করে একদিন এসব শপিং ব্যাগ ভর্তি করে নিয়ে আসি!

কেউ রিয়েল ডিসিশন দেয় না
কেনো জানি রিয়েলিটি ডিসিশন নিতে জানে না
আমি জানি এক জীবনে আর কয়টা জীবন হবে ক্ষয়?
তবে কি
আমার মতো ফ্ল্যাশলাইটের আলোতেই সবার ভয়?

তবুও আমি সবকিছুকে অকৃত্রিম বলে বাঁচতে চাই
ভোরের সুরেলা পাখির মতো
কুসুমপুরের আনটাচড ভার্জিন চাঁদ কুসুমের মতো
অত:পর আমরা সবাই মিলেমিশে
আমড়াগাছি থেকে মিছিলের গোড়াপত্তন করবো
সবকিছু একেবারেই আনকোরা…
অত:পর আমরা সবাই হবো স্ফটিক জলে বদলে যাওয়া
হাওয়াই পৃথিবীর প্রথম পৃথক মানুষ………………….!!

2 thoughts on “পৃথকীকরণ

  1. বরাবরই আপনি ভালো লিখেন প্রিয় কবি। নিয়মিত পড়ে চলেছি।
    অভিনন্দন জানবেন। :)

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।