কালাজ্বর
নদীকে বলেছিলাম, ইদানিং আমার শরীরে জ্বর যেনো লেপ্টে থাকে
যেভাবে নিমপাতার সাথে সা-রস লেপ্টে থাকে
যেভাবে ঘৃণার সাথে ভালোবাসা লেপ্টে থাকে ঠিক সেভাবে..
নদী খানিকটা সময় কোথা থেকে যেনো উড়ে আসলো
অতঃপর আমার কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিসিয়ে বললো,
আমি যদি তোমার শরীরের কালাজ্বর হতাম…………!
আমি একলাফে মাটি থেকে মহাকাশে উড়াল দিলাম
ডুবোজাহাজের মাস্তুল ধরে ভালোবাসার নিশান হাতে স্বর্গ, মর্ত্য, পাতালপুরী ঘুরে এলাম…
তবুও নদী আর যদি’র রহস্যের কিনারা করতে পারলাম না!
পুরাকালে পথ পথিকে পদ্মজলে নাইতে নিয়ে যেতো ….
আর এখন পথিক পথকে কাঁধে করে বেড়াতে নিয়ে যায়
আমি পুঁথির প্রতাপ খুব একটা জানি না
আমি গাজি, কালু আর চম্পাবতীকে চিনি না
আমি যদি বলতে কেবল নদীর ভালোবাসাকেই বুঝি….
আমি ভালোবাসা বলতে কেবল আমার নদীর কালাজ্বরকেই খুঁজি!!
স্বাক্ষ্য দিয়ে বলছি আপনার কবিতা আসার কাছে ভাল লেগেছে কবি দা।
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা কবিদি।
সত্যি- চমৎকার লাগছে পড়তে
বেশ কবিতা–
আমিও স্বাক্ষ্য দিচ্ছি- আমিও ভালোবাসা বলতে কেবল আমার নদীর কালাজ্বরকেই খুঁজি!!