মানুষ, মানুষ মারার অস্ত্র বানিয়েছে
পশুদের কোনো অস্ত্র নেই।
সুসময়ের ডাল থেকে এখন ছিটকে পড়ছে সময়
মানুষের অমরত্বের খাতা থেকেও ক্রমাগত
খসে খসে পড়ে মানুষের ‘মানুষ হওয়ার’ বীরত্বগাথা
তা দেখে পশুদের বুকেও জমা হয় বেদনার-
অতিদীর্ঘ এক নদীর দীর্ঘশ্বাস।
মানুষের মুমূর্ষু বিবেককে সমুদ্রের কাছে নিয়ে যাও
দেখাও তাকে সমুদ্রের বিশালতা
তাকে আকাশ দেখাও, দেখাও শরতের চাঁদ
মুমূর্ষু বিবেক দেখুক, কী করে আকাশ মানুষকে
এত বিশালতা দেয়, এক টুকরো চাঁদ কীভাবে
ঢেকে দেয় পৃথিবীর সকল আঁধার।
মানুষ দেখুক, ঈশ্বরের উদারতার খোঁপা খুলে
কী করে একটি মাছ প্রাণ ভরে নদীতে সাঁতরায়।
নয়তো, মানুষ একসময় বিলুপ্ত হবে
পশুরা টিকে থাকবে পৃথিবীতে।
প্রকৃতির কাছে হাত পেতে তাই নতজানু হয়ে আছি
একটি সূত্র দাও হে প্রভু,
মানুষ আবার মানুষ হয়ে উঠুক।
(উৎসর্গঃ ১৫ মার্চ ২০১৯ ইং তারিখে ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৪৯ জন মানুষের স্মৃতির প্রতি)
প্রকৃতির কাছে হাত পেতে তাই নতজানু হয়ে আছি
একটি সূত্র দাও হে প্রভু,
মানুষ আবার মানুষ হয়ে উঠুক।
ধর্ম আচার যার যার নিজস্ব মানসিক বিষয়। ধর্মকে পুঁজি করে যে কোন অসাদচরণ গ্রহণ যোগ্য নয়। দুঃখজনক অধ্যায়।
আসলেই দুঃখজনক। মানুষের ভেতরে আজ নেই মানবিকতা। শান্তি যেন মিসরীয় সভ্যতা থেকেও আজ অনেক দূরে। মানুষের মাংস ভক্ষণ করে আজ ঢেঁকুর তোলে অন্য মানুষ অথচ কাক কখনোই কাকের মাংস খায় না।
প্রকৃতির কাছে হাত পেতে তাই নতজানু হয়ে আছি
একটি সূত্র দাও হে প্রভু,
মানুষ আবার মানুষ হয়ে উঠুক।
অসম্ভব এক আকুলতা আবেদন ফুটে উঠেছে। মানুষ থাক মানুষের কাছে নিরাপদ।
কবিতাটির অসাধারণ ইলাস্ট্রেশন হয়েছে। মানুষ মনুষত্ব হারিয়ে ফেললে কি আর থাকে !!
মানুষ কিভাবে এতোটা পাষণ্ড হয় বুঝি না। ঘাতক মুসলিম হলে টেররিস্ট আর ভিন্ন সম্প্রদায়ের হলে মানসিক ভারসাম্যহীন। ধিক্ এই তামাশা। উদ্ভুত ঘটনার নিন্দা জানাই।
মানুষ আবার মানুষ হয়ে উঠুক। এতো মোলায়েম ভাবে বলবো না, বলবো মানুষের মানসিক বিকলাঙ্গের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট এ্যাকশন নেয়া হোক। ধর্মের নামে সাদা কালো অভিবাসী রেসিজম বরদাশত করবো না।
প্রকৃতির কাছে হাত পেতে তাই নতজানু হয়ে আছি
একটি সূত্র দাও হে প্রভু,
মানুষ আবার মানুষ হয়ে উঠুক ।
কিভাবে মানুষ হয়ে মানুষকে এভাবে হত্যা করতে পারে? আমার বোধগম্য নয়।
মানুষ্য সমাজের কিছু সৃষ্ট ঘৃণীত ঘটনার বাস্তবতার নিরিখে এক চরম সত্য উদঘাটন করেছেন কবি তার কবিতায়। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
অসাধারণ গাঁথুনি। অনেক ভালো লাগলো। কবিকে ধন্যবাদ।
অনবদ্য লেখা
দামি বিষয়বস্তু! কবিতার এই একমুখি প্রবাহ (ওয়ান স্ট্যাঞ্জা) আমার খুব ভালো লাগে। তবে সবচে বেশি পছন্দ করেছি এর আধুনিক অবয়ব!
মুগ্ধ হলাম!