বৈরাগী সংসার
গ্লাস ভরা আলো পান করে বুকের তৃষ্ণা যতটা জুড়িয়েছ তার থেকে বেশী কষ্ট নিয়ে চলে গেছো নাকের ফুল কিংবা সিঁদুরের টিপ পরে। কোন দিগন্তরেখায় যে ধোঁয়াশা মেঘ উড়ে যায় সে কি জানে তার গন্তব্য কোথায়;
সীমানার প্রাচীরে ঝুলে যায় স্মৃতির স্বারক
স্থানবদল হয়ে পাল্টে খোরাক, বসন, চিন্তা, চেতনা
অপলক চোখেরপর্দা যতটা শিহরণ তোলে তার থেকে বেশী কম্পন ধরায় শারীরিক খসে পরা শাড়ির জমিন; বুঝেও বুঝনি অপেক্ষার সুরমালা কার কণ্ঠে বিষের জ্বালা ধরিয়ে বানায় নীলাভ নীলকণ্ঠী। সব নদী পায় না সাগরের ভালোবাসা, সব গাছে বাধে না পাখি তার নীড়, সব আলোয় চোখ শব কি দেখতে পায়?
মৃত শরীরের থেকে আরো বেশী শীতল মৃত মন;
আমি পাহাড় হয়ে দাঁড়াতে পারিনি,
মেঘ চলে গেছে দূরে
আমি সীমানার প্রাচীর তুলতে পারিনি
জমি কেড়ে নিয়েছে প্রাচুর্যদায়িনী ;
আমি মোহনায় গড়েছি বালুর বসতি
পাইনি স্রোতের দেখা
পারিনি সেই বৃক্ষ হতে;
গোধূলি বেলায় তাই পাখী ফিরে গেছে আপন নীড়ে
সকাল কিংবা বিকেলবেলার নরম রোদ হয়ে
পারিনি কুসুম উষ্ণতা দিতে
তবু যা দিয়ে হারিয়েছি নিজের বাসন্তীরঙ
এই অবেলায় তাকে আর সঞ্চয় করা যাবে না।
বৈরী বাতাস ঘরেবাইরে
উসকে দিয়েছে যে দহন
সেই তাপে পুড়ে পুড়ে ক্ষার
তোমার আমার
বৈরাগী সংসার।
______________
বিঃদ্রঃ এই কুবিতা কেউ কবিতা ভাবলে সেই দায় তার নিজের। ছবি নেট থেকে।
“বৈরী বাতাস ঘরেবাইরে উসকে দিয়েছে যে দহন …
সেই তাপে পুড়ে পুড়ে ক্ষার; তোমার আমার বৈরাগী সংসার।”
লিখার থিম পাঠক হৃদয় নিশ্চয়ই নাড়া দেবে। ব্যবহৃত প্রচ্ছদও অসাধারণ। লিখার শেষ প্রান্তে এসে লিখাটি যেন বিরতি নিয়েছে। কেননা জীবন এবং স্রোত বহমান। বন্ধুর পথের ভালোবাসাও একদা টিকে যায়। এই জীবনঘেঁষা লিখা অনেকটা পথ এগুবে। যদি নেন।
অভিনন্দন প্রিয়বরেষু খেয়ালী মন। বেশ লম্বা বিশ্রামের পর আপনার দেখা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মুরব্বী
ইচ্ছেরা পরাজিত হয় বস্তবতার সংঘাতে।
শুভকামনা থাকলো আপানার জন্য।
ইচ্ছেদের পরাজয়; বাস্তবতার ঘটন-অঘটনের সংঘাতে … কোন সন্দেহ নেই স্যার। শুভকামনার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ প্রিয় কথা শিল্পী খেয়ালী মন।
বৈরী বাতাস ঘরেবাইরে
উসকে দিয়েছে যে দহন
সেই তাপে পুড়ে পুড়ে ক্ষার
তোমার আমার
বৈরাগী সংসার।
//বৈরাগী সংসারের গল্প পীড়াদায়ক হলেও কবিতায় তা ফুটে উঠেছে মৃত শরীর ও মৃত মনের উপমায় অত্যন্ত নিখুঁত ভাবে ।
সব নদী পায় না সাগরের ভালোবাসা, সব গাছে বাধে না পাখি তার নীড়, সব আলোয় চোখ শব কি দেখতে পায়? মৃত শরীরের থেকে আরো বেশী শীতল মৃত মন।
আপনার কাব্য-ভাবে আমি বরাবরই অসাধারনত্ব লক্ষ্য করি খেয়ালী মন ভাই।
বৈরী বাতাস ঘরেবাইরে
উসকে দিয়েছে যে দহন
সেই তাপে পুড়ে পুড়ে ক্ষার
তোমার আমার
বৈরাগী সংসার।
*


জীবন নির্ভর কবিতা আপনার হাতে খুব ভালো আসে খেয়ালী ভাই। ভালো লাগা প্রকাশ করলাম কবি।
কবিতার কিছু কিছু জায়গা অসাধারণ অতূল্য অনুভবের করে গড়ে তুলেছেন খেয়ালী ভাই।
জীবনে অনেক পেয়েছি আমি; তার থেকে বেশী হারিয়েছি হয়তো। আপনার কবিতা আমাকে দূর অজানা কোথায় হয়তো নিয়ে যায়। ফেরা কষ্টকর হয়ে যায় ভাই।