অন্ধকারের ক্ষরণ

শরীরে জেগেছিলো বিষধর কেউটের ছোবল
জীবনের পোড়খাওয়া অাগুন
বিভাজনে টানে ভেসে যায়
সময়ের মাঝ সমুদ্রে,
বিধাতার ভাগ্যলিখন দোষে দুষ্ট
সমর্পিত সময়,
আমি কোথাও পরিকল্পিত
সুখের জীবন দেখিনা।

খসেপড়া সময় বৈদিক যুগের মত ফিরে আসে
মোহনার কাছে,
গাঙচিল ডানার ভাঁজে মেখে নেয়
রোদের বিন্যাস;
বেহুলার ভাসান পালাতেও
জেগে ওঠে প্রাণ।
সবটাই সময়ের ক্ষত
যেখানে
পাতায় শিশিরের মত জমে থাকা স্বস্তিটুকু
ঝরে যায় রোদ্দুরের দৃষ্টিতে
যেখানে
তপ্ত হৃদয়ের পাশে ঝুলে থাকে মহাকাল।
যেখানে
জেগে ওঠে নয়নোৎসব হেমন্তের সকালে তবু
হয়না সকাল মালঞ্চের বনে।
যেখানে
ধরনীর বিষমধু যতটা করেছি পান ততটা
বন্ধ দুয়ার খুলে করনি আহব্বান।
যেখানে
জানালার গ্রীল ধরে ঝুলে থাকা রোদ
পর্দাপ্রথায় দেখেনি গৃহ অভ্যন্তর।

অদ্ভুত অন্ধকারে হৃদয়ের শরীরে
ক্ষরণ সাপের বিষে বেঁচে থাকা মন
একাকি প্রহর গোনে বিসর্জনে আনমনে,
তবু রোদকে সাজাই আজো নয়নের রোষে।

2 thoughts on “অন্ধকারের ক্ষরণ

  1. অদ্ভুত অন্ধকারে হৃদয়ের শরীরে
    ক্ষরণ সাপের বিষে বেঁচে থাকা মন
    একাকি প্রহর গোনে বিসর্জনে আনমনে,
    তবু রোদকে সাজাই আজো নয়নের রোষে। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।