এভাবেই কান্নাকে বিলিয়ে দিচ্ছি জলের দরে। যার কান্না নেই, সে তো শালগ্রাম শিলা। নিজের হৃৎপিণ্ড ছিঁড়েখুঁড়ে নেবার পর তোমার উঠোনে রেখে গেলাম একটা ওপড়ানো নিষ্পত্র গাছ। তাই এখন আমার কোনো কষ্ট নেই। তোমার দেউড়িতে ঢুকতে না-পারা আমার কথারা গর্ভপাতের মতো নষ্ট হয়। আমার কথারা না জন্মাতেই পর্ণমোচী। তারা তোমার নীরবতার শীতঋতুতে অনর্গল ঝরে পড়ছে নড়বড়ে একটা গোটা সাঁকো জুড়ে। তোমার ফুৎকারে তারা উড়ে যায় এলোমেলো। অথচ তারা তোমার উঠোনের কোনায় একটু মাটি পেলে বট-অশ্বত্থ হতে পারত, গড়ে তুলতে পারত ভাষাদেহের ছায়ার মিনার। অথচ আমার জিভ কেটে ফেললে তুমি। আমার চারপাশে যখন ধূধূ দিগন্ত নেমে এলো, টের পেলাম আমি কোথাও নেই, কোনোদিন ছিলাম না। সেই না-থাকার ভেতর টের পাই, তোমার নাভিকুন্ড গনগনে লাল আঙরার এক বলয় পেরিয়ে এক কৃষ্ণগহ্বরের মুখ। তার ভেতর যে আঁধারের উনুন, সেইখানেই বুঝি আমার জন্ম ও মৃত্যু? আসলে অনাদি আমি কিংবা অনন্ত গর্ভাধানের অন্ধকারে ঘুমিয়ে থাকা এই আমি একটি নুড়িমাত্র।
কিন্তু তুমি খুশি থেকো, কোটি সূর্য গিলে নিলেও কৃষ্ণগহ্বর নিজেকেই চেনে না। তুমি নিশ্চিত থেকো, অনাদি আমির কোনো রূপান্তর নেই। তাই তোমার উঠোনে দূরও আসবে না, নিকটও আসবে না কোনোদিন। নিশ্চিত করে তুমি জেনে রাখো।
যাপিত জীবনের অসম্ভব সব অনুভুতি আপনার লিখায় অসাধারণ উঠে এসেছে প্রিয় কবি। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য। ভালো থাকবেন।

বেশ আনুরাগি অভিমানি এক আবেগময়