অস্তরাগে রাঙে রবি

কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মস্থান বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রাম অজয় নদীর পাড়ে। অজেয় অজয়। বিহারের মুঙ্গের জেলায় একটি ৩০০ মিটার উচু পাহাড় থেকে উৎসারিত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহী অজয় ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে বয়ে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চিত্তরঞ্জনের নিকট শিমজুড়িতে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে।

বর্ধমান ও বীরভূম জেলার প্রাকৃতিক সীমানা হিসাবে পূর্বে প্রবাহিত হয়ে বর্ধমানের কাটোয়া সাবডিভিসনের কেতুগ্রাম থানা অঞ্চলে বর্ধমানে প্রবেশ করে কাটোয়া শহরের কাছে ভাগীরথীর সংগে মিলিত হয়েছে। অজয়ের মোট দৈর্ঘ্য ২৮৮ কিলোমিটার যার মধ্যে শেষ ১৫২ কিমি পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত। অজয়নদী নিয়ে সনেট কবিতাটি কবির প্রথম প্রয়াস।

শব্দনীড়ের ছায়ায় আপনাদের সাথে আছি, থাকবো। শব্দনীড় আমাদের শান্তির নীড়, স্বপ্নের নীড়, লেখনীর চাবিকাঠি দিয়ে, আপনার জ্ঞান ও বিশ্বাসকে সাথে নিয়ে আপনারা সকলেই এই নীড়ে প্রবেশ করুন। আশা রাখি এর অনুকূল পরিবেশ আপনাদের সকলকে আকৃষ্ট করবেই একথা জোর দিয়ে বলতে পারি।

কবিতার ছন্দ, ভাষা ব্যবহার, শব্দপ্রয়োগ ও শব্দবিন্যাস এবং কাব্যিকতার ও বিষয়বস্তু সংক্রান্ত সুপরামর্শ মন্তব্যে প্রকাশিত হলে বাধিত হব। কৃতজ্ঞতার সাথে তা সাদরে গৃহীত হবে। কথা দিলাম। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!

অস্তরাগে রাঙে রবি
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

অস্তরাগে রাঙে রবি দিবসের শেষে,
অজয়ের নদীঘাটে নামিল আঁধার।
সাঁঝের সানাই বাজে আসে সুর ভেসে,
জ্বলে দীপ। ভেসে আসে শঙ্খের ঝঙ্কার,
গগনেতে তারা ফুটে চাঁদ উঠে হেসে।
শাল পিয়ালের বনে নামে অন্ধকার।

কল কল নদীজল বহে অবিরল,
পঞ্চমীর চাঁদ উঠে, বিনিদ্রা রজনী।
জনশূণ্য ঘাটে নাহি শুনি কোলাহল।
নদীতটে জাগে একা বন্দিনী তরণী।
মধ্যরাতে থেকে থেকে কাঁদিছে শৃগাল।
মায়াময় স্বপ্ন ভাসে গভীর নিশীথে,
দুঃস্বপ্ন তন্দ্রাচ্ছন্ন ভেদি মায়াজাল,
পূর্বদিশা রাঙা হয়, রাত্রি যায় কেটে।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

4 thoughts on “অস্তরাগে রাঙে রবি

  1. যে কোন লিখার প্রাককথন লিখার সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দেয়। আপনার পোস্ট সত্যিকারার্থেই অন্য সবার থেকে আলাদা। এবং পরিচ্ছন্ন। আমার ভালো লাগে। অভিনন্দন মি. ভাণ্ডারী।

    শুভ সকাল এবং শুভ দিন। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

    1. উল্লেখ করা প্রয়োজন, কবিগণ এমনিতেই কাব্য পিপাসু। কবিতা পাঠ করতে ভালবাসেন। আগ্রহ সহকারে সকলের কবিতা পাঠ করেন এবিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু এমন অনেক পাঠক আছেন যাঁরা কবিতার ধারে কাছে ঘেঁষতে চান না। তাদের কবিতা পাঠের মানসিকতা তৈরি করার জন্য  আমি আলোচনা উপস্থাপনা করে কবিতা লিখি। আশা করি এতে সহৃদয় পাঠকগণের কাব্য পাঠের মানসিকপ্রবণতা বৃদ্ধি পাবে ও কবিতা পাঠে আগ্রহী হয়ে উঠবেন।

      আপনার সুন্দর মন্তব্য হৃদয় স্পর্শ করে। মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। সশ্রদ্ধ নমস্কার গ্রহন করবেন আর উত্সাহ দান করবেন আশা রাখি। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!

  2. অভিনন্দন কবি দা। আপনার পোস্টে এলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

  3. আপনার কবিতার সাথে সাথে ইতিহাস এর কিছু বিষয়ও জানা হয়ে যায়। শুভেচ্ছা প্রিয় কবি দা।  

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।