নদীর ঘাটে নামে আঁধার

পলাশের বনে ফুল ফুটেছে
ফুলের গন্ধে অলি মেতেছে
প্রভাত হাওয়া বয়,

শিমূলের বনে ফুটে শিমূল,
আমের বনে আমের মুকুল,
সাজে নব কিশলয়।

বসন্তের দূত ডেকে উঠে,
কুসুম কাননে প্রসূন ফুটে,
প্রভাত পাখিরা গায়,

রাঙা মাটির পথ চলেছে,
সরানে লাল ধূলো উড়ছে,
গরুগাড়ি দ্রুত ধায়।

ফাগুন রাঙা অরুণ প্রভাতে,
তরুর শাখে পাখিরা মাতে,
কোকিলের কুহুতান,

শাল পিয়াল বনের মাঝে,
বাঁশের বাঁশি মাদল বাজে,
আকুল করে পরাণ।

বাঁশের বনে গলিপথ দিয়ে
বধূরা আসে কলসী নিয়ে,
লাল শাড়ি পরা সবে।

নদীর ঘাটে বটের গাছে,
পাখিরা সব শাখায় নাচে,
ঘাট ভরে কলরবে।

অজয় নদীর ঘাটের কাছে
নদীকূলে তরী বাঁধা আছে
কুলু কুলু নদী বয়,

দুপুর বেলায় অজয় ঘাটে,
ছেলেরা সব সাঁতার কাটে
চরে বক বসে রয়।

পড়ে আসে যেই ঘাটে বেলা
শেষ হয় সারা দিনের খেলা,
ডুবে যখন তপন,

নদীর ঘাটে নামে আঁধার,
আঁধার কালো নদীর ধার
নদীর ঘাট নির্জন।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

8 thoughts on “নদীর ঘাটে নামে আঁধার

    1. সুন্দর মন্তব্য হৃদয় ছুঁয়ে যায়। মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম।
      প্রিয়কবিকে আন্তরিকভাবে শ্রদ্ধা জানাই।
      সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
      জয়গুরু!

    1. সুন্দর মন্তব্য হৃদয় ছুঁয়ে যায়। মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম।
      প্রিয়কবিকে আন্তরিকভাবে শ্রদ্ধা জানাই।
      সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
      জয়গুরু!

    1. সুন্দর মন্তব্য হৃদয় ছুঁয়ে যায়। মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম।
      প্রিয়কবিকে আন্তরিকভাবে শ্রদ্ধা জানাই।
      সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
      জয়গুরু!

    1. সুন্দর মন্তব্য হৃদয় ছুঁয়ে যায়। মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম।
      প্রিয়কবিকে আন্তরিকভাবে শ্রদ্ধা জানাই।
      সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
      জয়গুরু!

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।