আমার প্রাণের ঠাকুর গীতিকবিতা-২

আমার প্রাণের ঠাকুর গীতিকবিতা-২
শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আদর্শ ও উপদেশ::

———————————————————-

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র (১৪ই সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮- ২৬শে জানুয়ারি, ১৯৬৯) বাঙালি ধর্ম সংস্কারক। শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ নামক সংগঠনের প্রবর্তক। তিনি ব্রিটিশ ভারতের বঙ্গ প্রদেশের পাবনা জেলার হিমায়তপুরে জন্মগ্রহণ করেন, যা বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্গত। ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে দেহত্যাগ করেন।

অনুকূলচন্দ্রের পিতা শিবচন্দ্র ছিলেন নিষ্ঠাবান ব্রাক্ষ্মণ। তার জননী মনোমোহিনী দেবী ছিলেন একজন সতীসাধ্বী রমনী। তিনি উত্তর ভারতের যোগীপুরুষ শ্রী শ্রী হুজুর মহারাজের শিষ্য। ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র মায়ের কাছেই দীক্ষা গ্রহণ করেন।
ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র হিন্দুধর্ম তথা হিন্দু সমাজের একজন মহাপুরুষ, বিশ্ব মানবতাবাদী এবং পরম কৃষ্ণ ভক্ত।
আনুমানিক তার ১০০ টির মত গ্রন্থ রয়েছে। যে গুলো ৮০ ভাগই নীতিশিক্ষা। কি ভাবে মানুষ ভাল থাকবে, সুস্থ থাকবে, শান্তিপূর্ণ ভাবে সবাই মিলে মিশে থাকবে, সেই শিক্ষাই দেওয়া হয়েছে।

পৃথিবীতে বহু মানবতাবাদী রয়েছে, তবে তার মত শ্রেষ্ঠ আর কেউ নেই,তিনি সকল মানুষকে নিয়েই ভাবতেন, সকল মানুষেরই পাশে দাড়াতেন।

কৃষ্ণ ভক্তি
—————–
## ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সব সময় চাইতেন, আমার অনুসারিরা সব সময় কৃষ্ণ ভক্তির পথে থাকুক। কারন ভগবানের উপাসনা ছাড়া মুক্তি লাভের কোন উপায় নেই।

১/ কৃষ্ণ ভিন্ন উপাই নাই আর সংসারে ( পুন্যপুথি,১০/৮৫)
২/ ভগবান ব্যতিরেকে উপাস্য নাই।ঋষিগণ তাহারই বার্ত্তিক। ( আলোচনা প্রসঙ্গে, ৬)
৩/ তোদের লক্ষ্য ভগবান। (পুন্যপুথি, ১১/৩২)

ভগবানে মন স্থির
—————————–
## মনকে স্থির রাখার উপায় কি? কি ভাবে ভগবানের পথে একাগ্রতা আসবে, এ বিষয়ে ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র বলেছেন,

১/ বাসুদেবই ( কৃষ্ণ) সব হলে একাগ্রতা সহজ হয়।( আলোচনা প্রসঙ্গে, ২১)
২/ সমস্ত গীতার মধ্যে ঘুরে ফিরে ঐ ইষ্ট প্রাণ হওয়ার কথা, ঐ কৃষ্ণ প্রাণ হওয়ার কথা,সমস্ত মহাপুরুষদের কথাই ঐ,শিক্ষাই ঐ, কাজই ঐ।ঐ টুকুর অভাবেই তো জন্ম জন্মান্তরে কত কষ্ট। ভগবানকে যে বুকে বয়ে নিয়ে বেড়ায় তার আবার পরোয়া কি? ( আলোচনা প্রসঙ্গে /৬)
৩/ ভগবানকে জানা মানেই সমস্তটাকে বুঝা বা জানা। (আলোচনা প্রসঙ্গে)
৪/ বসুদেবের ছেলে শ্রীকৃষ্ণ,রক্ত মাংস সঙ্কুল এই প্রতীকই যা কিছু সব, এই বোধই চরম বোধ।( আলোচনা প্রসঙ্গে, ২য় খন্ড, ২০/১২/৪১)

আমার প্রাণের ঠাকুর
গীতিকবিতা-২

যুগে যুগে তুমি এসেছো হে প্রভু
ওগো পতিত পাবন হরি,
পেয়ে তব নাম ধন্য হলাম আমি
ভাসালাম এ জীবন তরী।

তব নাম স্মরণে, তব নাম মননে
খুশির জোয়ার আসে হৃদয়কাননে।

এসো গো প্রভু হৃদয়ের দেবতা
তব নাম নিশিদিন গাইব আমি।

ওগো প্রভু জীবন স্বামী,
হে মোর জীবন স্বামী।

তোমার নামে তোমার গানে এই
জীবনের তরী চলে বয়ে,
অযুত ভক্ত কাটায় সুখে জীবন
তব সৎ নামে দীক্ষা লয়ে।
তব নাম স্মরণে, তব নাম মননে
খুশির জোয়ার আসে হৃদয়কাননে।

এসো গো প্রভু হৃদয়ের দেবতা
তব নাম নিশিদিন গাইব আমি।

ওগো প্রভু জীবন স্বামী,
হে মোর জীবন স্বামী।

জীবন আঁধারে জ্বালালে প্রদীপ
ওগো প্রভু জীবন স্বামী,

অজ্ঞান নাশি জ্ঞানের আলোক
দিলে প্রভু তুমি অন্তর্যামী।

তব নাম স্মরণে, তব নাম মননে
খুশির জোয়ার আসে হৃদয়কাননে।

এসো গো প্রভু হৃদয়ের দেবতা
তব নাম নিশিদিন গাইব আমি।

ওগো প্রভু জীবন স্বামী,
হে মোর জীবন স্বামী।

যুগে যুগে তুমি এসেছো হে প্রভু
ওগো পতিত পাবন হরি,
পেয়ে তব নাম ধন্য হলাম আমি
ভাসালাম এ জীবন তরী।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

2 thoughts on “আমার প্রাণের ঠাকুর গীতিকবিতা-২

  1. যুগে যুগে তুমি এসেছো হে প্রভু, ওগো পতিত পাবন হরি,
    পেয়ে তব নাম ধন্য হলাম আমি, ভাসালাম এ জীবন তরী।

    বরাবরের মতো ভালো লাগা অংশ কোট করেই প্রশংসা করলাম মি. ভাণ্ডারী। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।