শ্রী শ্রী ঠাকুরের জীবনী ও বানী (প্রথম পরিচ্ছেদ)
সংগ্রহ ও সম্পাদনা- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
যুগ পুরুষোত্তম শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের জীবনী
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র (১৪ই সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮- ২৬শে জানুয়ারি, ১৯৬৯) বাঙালি ধর্ম সংস্কারক। শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ নামক সংগঠনের প্রবর্তক। তিনি ব্রিটিশ ভারতের বঙ্গ প্রদেশের পাবনা জেলার হিমায়তপুরে জন্মগ্রহণ করেন, যা বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্গত। ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে দেহত্যাগ করেন।
শ্রী শ্রী ঠাকুরের সত্যানুসরণ গ্রন্থ থেকে পাঠ
ভারতের অবনতি (degeneration) তখন থেকেই আরম্ভ হয়েছে, যখন থেকে ভারতবাসীর কাছে অমূর্ত্ত ভগবান অসীম হয়ে উঠেছে—ঋষি বাদ দিয়ে ঋষিবাদের উপাসনা শুরু হয়েছে।
ভারত! যদি ভবিষ্যৎ উন্নতিকে আবাহন করতে চাও, তবে সম্প্রদায়গত বিরোধ ভুলে জগতের পুর্ব পুর্ব গুরুদের প্রতি শ্রদ্ধা সম্পন্ন হও—আর তোমার মুর্ত ও জীবন্ত গুরু বা ভগবানে আসক্ত (attached) হও, –আর তাদের স্বীকার কর যারা তাঁকে ভালবাসে। কারণ, পুর্ব্ববর্ত্তীকে অধিকার করিয়াই পরবর্তীর আবির্ভাব হয়।
অর্থ, মান যশ ইত্যাদি পাওয়ার আশায় আমাকে ঠাকুর সাজিয়ে ভক্ত হয়ো না, সাবধান হও ঠকবে; তোমার ঠাকুরত্ব না জাগলে কেহ তোমার কেন্দ্রও নয় ঠাকুরও নয় – ফাঁকি দিলে পেতে হবে তা।
সত্যানুসরণ
সর্বপ্রথম আমাদের দুর্বলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। সাহসী হতে হবে, বীর হতে হবে। পাপের জলন্ত প্রতিমূর্তি ঐ দুর্বলতা। তাড়াও, যত শীঘ্র পার, ঐ রক্ত শোষনকারী অবষাদ উৎপাদক vampire কে। স্মরণ কর তুমি সাহসী, স্মরণ কর তুমি শক্তির তনয়, স্বরণ কর তুমি পরমপিতার সন্তান। আগে সাহসী হও, অকপট হও, তবে জানা যাবে তোমার ধর্মরাজ্যে ঢোকাবার অধিকার জন্মেছে।
এতটুকু দুর্বলতা থাকলেও তুমি ঠিক ঠিক অকপট হতে পরবে না; আর যতদিন তোমার মন-মুখ এক না হচ্ছে ততদিন তোমার মলিনতার গায়ে হাতই পড়বে না। মন মুখ এক হলে আর ভিতরে গলদ জমতে পারে না-গুপ্ত আবর্জনা ভাষায় ভেসে উঠে পড়ে। পাপ গিয়ে তার ভিতর বাসা বাঁধতে পারে না।
হটে যাওয়াটা বরং দুর্বলতা নয়কো কিন্তু চেষ্টা না করাই দুর্বলতা। তুমি কোনকিছু করতে প্রাণপন চেষ্টা করার সত্বেও যদি বিফলমনোরথ হও, ক্ষতি নাই। তুমি ছেড় না, ঐ অম্লান চেষ্টাই তোমাকে মুক্তির দিকে নিয়ে যাবে।
দুর্বল মন চিরকালই সন্দিগ্ধ, তারা কখনই নির্ভর করতে পারে না। বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে তাই প্রায়ই রুগ্ন, কুটিল, ইন্দ্রিয়পরবশ হয়। তাদের নিকট সারাটা জীবন জ্বালাময়। শেষে অশান্তিতে সুখ দুঃখ ডুবে যায়, কি সুখ কি দুঃখ বলতে পারেনা। বললে হয়তো বলে বেশ, তাও অশান্তি; অবসাদে জীবন ক্ষয় হয়ে যায়।
দুর্বল হৃদয়ে প্রেম ভক্তির স্থান নেই। পরের দূর্দশা দেখে পরের ব্যাথা দেখে, পরের মৃত্যু দেখে নিজের দূর্দ্দশা, ব্যাথা বা মূত্যুর আশঙ্কা করে ভেঙ্গে পড়া, এলিয়ে পড়া বা কেঁদে আকুল হওয়া – ওসব দূর্বলতা। যারা শক্তিমান, তারা যাই করুক, তাদের নজর নিরাকরনের দিকে; যাতে ও সব অবস্থায় আর না কেউ বিদ্ধস্ত হয়, প্রেমের সহিত তারই উপায় চিন্তা করা—বুদ্ধদেবের যা হয়েছিল। ঐ হচ্ছে সবল হৃদয়ের দৃষ্টান্ত।
তুমি বল না তুমি ভীরু, বলনা তুমি কাপুরুষ, বলনা তুমি দুরাশয়। পিতার দিকে নজর কর, আবেগভরে বল ওগো আমি তোমার সন্তান; আমার আর জড়তা নেই, আমি আর কাপুরুষ নই, আমি আর তোমাকে ভুলে নরকের দিকে ছুটে যাব না, আর তোমার জ্যোতির দিকে পেছন ফিরে অন্ধকার অন্ধকার বলে চিৎকার করব না।
(চলবে)
হটে যাওয়াটা বরং দুর্বলতা নয়; চেষ্টা না করাই দুর্বলতা। দুর্বল হৃদয়ে প্রেম ভক্তির স্থান নেই। গুরু বাণী সত্য বাণী। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ মি. ভাণ্ডারী।
শ্রী শ্রী ঠাকুরের রাতুল চরণে সহস্র কোটি প্রণাম জানাই।
দয়ালের চরণস্পর্শে সবার জীবন ধন্য হয়ে উঠুক।
সাথে থাকুন সর্বদা। জয়গুরু!
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র এর গ্রন্থপাঠ এর অংশবিশেষ পড়লাম কবি। ধন্যবাদ।
মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম প্রিয়কবি। পাঠ করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
শ্রী শ্রী ঠাকুরের রাতুল চরণে সহস্র কোটি প্রণাম জানাই।
সাথেই থাকুন। জয়গুরু!
পর্বটি ছোট হওয়ায় ভাল ভাবে পড়তে পারলাম কবি দা।
সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম প্রিয়কবি। পাঠ করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
শ্রী শ্রী ঠাকুরের রাতুল চরণে সহস্র কোটি প্রণাম জানাই।
সাথেই থাকুন। জয়গুরু!
শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য কবি দা।
শ্রী শ্রী ঠাকুরের রাতুল চরণে সহস্র কোটি প্রণাম জানাই।
দয়ালের চরণস্পর্শে সবার জীবন ধন্য হয়ে উঠুক।
সাথে থাকুন সর্বদা। জয়গুরু!
পড়লাম দাদা।
মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম প্রিয়কবি। পাঠ করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
শ্রী শ্রী ঠাকুরের রাতুল চরণে সহস্র কোটি প্রণাম জানাই।
সাথেই থাকুন। জয়গুরু!
শুভেচ্ছা রাখি।
শ্রী শ্রী ঠাকুরের রাতুল চরণে সহস্র কোটি প্রণাম জানাই।
দয়ালের চরণস্পর্শে সবার জীবন ধন্য হয়ে উঠুক।
সাথে থাকুন সর্বদা। জয়গুরু!
ভালো পোস্ট। ভালো থাকুন দাদা।
শ্রী শ্রী ঠাকুরের রাতুল চরণে সহস্র কোটি প্রণাম জানাই।
দয়ালের চরণস্পর্শে সবার জীবন ধন্য হয়ে উঠুক।
আপনিও ভালো থাকুন সর্বদা। জয়গুরু!