গাঁয়ের কবিতা মাটির গান কবিতা-২

গাঁয়ের কবিতা মাটির গান কবিতা-২
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

গাঁয়ের কবিতা মাটির গান
এ গাঁয়ের কথা বলে,
গাঁ আমার মাটি যে আমার
সবুজের ছায়াতলে।

এই গাঁয়েতে গাঁয়ের বধূ
জল নিয়ে যায় ঘরে,
সবুজ গাছে পাখিরা নাচে,
পরাণ পাগল করে।

এই গাঁয়েতে রাখাল ছেলে
বাজায় বাঁশের বাঁশি,
গাঁয়ের মাটি স্বর্গ আমার
আমি গাঁকে ভালবাসি।

এই গাঁয়েতে গাঁয়ের চাষী
মাটিতে চালায় লাঙল,
মাটির গন্ধে পরাণ পাগল
ফলায় মাটিতে ফসল।

এই গাঁয়েতে দিনের বেলা
কিরণ ছড়ায় রবি,
আঁধার রাতে চাঁদের আলো
আঁকে স্বপ্নময় ছবি।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

5 thoughts on “গাঁয়ের কবিতা মাটির গান কবিতা-২

  1. এই গাঁয়েতে দিনের বেলা
    কিরণ ছড়ায় রবি,
    আঁধার রাতে চাঁদের আলো
    আঁকে স্বপ্নময় ছবি।

    অসাধারণ কবি মি. ভাণ্ডারী। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

  2. গাঁ এর কবিতায় মন জুড়িয়ে যায়। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।