গাঁয়ের কবিতা মাটির গান কবিতা-৩

গাঁয়ের কবিতা মাটির গান কবিতা-৩
-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

ও লাল মাটির দেশে গো লাল মাটির দেশে।
যেথা সকাল হলে সোনার আলো
লাল মাটিতে মেশে গো, লাল মাটিতে মেশে।

মাটির ঘরে মাটির পরশ,
মাটির গন্ধে হৃদয় অবশ,

মাটির দেশে মাটির মানুষ, থাকে কেমন বেশে গো,
থাকে কেমন বেশে।

ও লাল মাটির দেশে গো লাল মাটির দেশে।
যেথা সকাল হলে সোনার আলো

লাল মাটিতে মেশে গো, লাল মাটিতে মেশে।

যেথা সকাল হলে সোনার আলো
লাল মাটিতে মেশে গো, লাল মাটিতে মেশে।

সবুজ ছায়া ও মাটির স্নেহ,
কোথায় গেলে পাবে কেহ,

শঙ্খচিলে ডাক দিয়ে যায় বাতাসে চলে ভেসে গো,
বাতাসে চলে ভেসে।

ও লাল মাটির দেশে গো, লাল মাটির দেশে।
যেথা সকাল হলে সোনার আলো
লাল মাটিতে মেশে গো, লাল মাটিতে মেশে।

অজয় ঘাটে বালির চরে,
সারি সারি শালিক উড়ে,

সারাদিন খেলে নদীচরে, নীড়ে ফেরে দিনের শেষে গো,
নীড়ে ফেরে দিনের শেষে।

ও লাল মাটির দেশে গো লাল মাটির দেশে।
যেথা সকাল হলে সোনার আলো
লাল মাটিতে মেশে গো, লাল মাটিতে মেশে।

চাঁদের আলো পড়ে ঝরে,
আমার গাঁয়ে মাটির ঘরে,

মাটির গন্ধে মন মাতিয়ে ঘুম আসে অবশেষে গো,
ঘুম আসে অবশেষে।
ও লাল মাটির দেশে গো লাল মাটির দেশে।

যেথা সকাল হলে সোনার আলো
লাল মাটিতে মেশে গো, লাল মাটিতে মেশে।

ভোররাতে চাঁদ ডুবে যায়,
সবুজ গাছে পাখিরা গায়,

পূবআকাশে কিরণ ছড়ায় প্রভাতসূর্য ওঠে হেসে গো,
প্রভাতসূর্য ওঠে হেসে।

ও লাল মাটির দেশে গো লাল মাটির দেশে।
যেথা সকাল হলে সোনার আলো
লাল মাটিতে মেশে গো, লাল মাটিতে মেশে।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

10 thoughts on “গাঁয়ের কবিতা মাটির গান কবিতা-৩

  1. গানের সুরে সুরে গাইতে গাইতে পড়ে ফেললাম শ্রদ্ধেয় কবি লক্ষ্মণ দাদা। 

    1. সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে
      সর্বদাই সাথে থাকবেন এটাই অনুরোধ রাখি।
      প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই। জয়গুরু!

  2. শুভেচ্ছা কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী। ঈদ মোবারক। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

    1. আপনার সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে
      সর্বদাই সাথে থাকবেন এটাই অনুরোধ রাখি।
      ঈদের শুভেচ্ছা জানাই। জয়গুরু!

    1. মন্তব্যে অভিভূত হলাম। সাথে থাকবেন সর্বদাই
      জয়গুরু!

  3. ও লাল মাটির দেশে গো লাল মাটির দেশে।
    যেথা সকাল হলে সোনার আলো
    লাল মাটিতে মেশে গো, লাল মাটিতে মেশে। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

    1. সুন্দর মন্তব্যে অভিভূত হলাম। সাথে থাকবেন সর্বদাই
      জয়গুরু!

  4. সুন্দর ছন্দের ব্যবহার পড়লাম কবি দা। :)

    1. আপনার সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।
      সাথে থাকবেন সর্বদাই
      জয়গুরু!

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।