গাঁয়ের টান মাটির গান গীতিকবিতা-৫

গাঁয়ের টান মাটির গান
গীতিকবিতা-৫

সোনা রোদ উঁকি দেয়
আকাশের আঙিনায়,
গাছে গাছে ডালে ডালে
পাখি সব গীত গায়।

রাঙাপথে দুই ধারে
কচি কচি ধান গাছে,
সবুজের সমারোহে
খেত মাঠ ভরে আছে।

ফুল বনে ফুল শাখে
ফুটে ওঠে ফুল কলি,
পুষ্পকুঞ্জে পুঞ্জে পুঞ্জে
গুঞ্জরিয়া আসে অলি।

অজয়ের নদী বাঁকে
দুই ধারে কাশ ফুল,
শোভা অতি মনোরম
ভরে আছে দুই কূল।

বেলা শেষে অন্ধকার
নামে অজয়ের ঘাটে,
দিন শেষে সন্ধ্যা আসে
ভোর হয় রাত কাটে।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

3 thoughts on “গাঁয়ের টান মাটির গান গীতিকবিতা-৫

  1. রাঙাপথে দুই ধারে
    কচি কচি ধান গাছে,
    সবুজের সমারোহে
    খেত মাঠ ভরে আছে।

    ইট- পাটকেলের শহরে বসবাস করছি অনেক বছর হলো। তাই এখন আর সবুজ ধানক্ষেত দেখা হয় না। না দেখা হলেও, আপনার কবিতা পড়ে  কিছুক্ষণের জন্য ধানক্ষেতের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম বলে মনে হচ্ছিল।     

    1. গা মা মাটি আর আপন মানুষদের ছেড়ে
      দিল্লি মহানগরীর বুকে পড়ে আছি।
      দম বন্ধ হয়ে আসে।
      মন ছুটে যেতে চায় গাঁয়ের পানে।

      পূরানো আমার গাঁয়ের স্মৃতিকে ভুলতে পারি না।
      তাই কবিতার পাতায় পাতায় দু এক কথা লিখে
      অবুজ মনটাকে স্বান্তনা দিই।

      আপনার সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম
      আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
      জয়গুরু!

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।