গ্রামবাংলার সংস্কৃতি ও লোকগান প্রথম পর্ব-ভাদুগান

গ্রামবাংলার সংস্কৃতি ও লোকগান
প্রথম পর্ব – ভাদুগান

তথ্যসংগ্রহ, সম্পাদনা ও গীতরচনা- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

ভাদু উৎসব ভাদ্র মাসের উৎসব। ভাদ্রমাসের সংক্রান্তির দিনে ভাদু পুজো হয়ে থাকে। ব্রতের ক্ষেত্রে ভাদ্র মাসের প্রারম্ভেই শুরু হয় মেয়েলি ব্রত। পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এবং লাগোয়া, বিহার, ঝাড়খণ্ডের দু-একটা জেলায় প্রধানত ভাদু উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
আদিবাসী, সাঁওতালদের মধ্যে করম গান ও উৎসবে পালন করার রীতি রয়েছে বর্ষাকালে। তা-ও বিশেষ ভাবে ভাদ্র মাসে। বর্ষা উৎসবের এই করম গানের হিন্দু সংস্করণ হিসেবে ভাদু গানকে ধরেছেন আশুতোষ ভট্টাচার্য। তিনি ভাদু গানকে আর্যেতর সমাজ উদ্ভূত ধরে, হিন্দু ধর্মের পৌত্তলিকতার প্রভাবজাত বলেছেন।
বর্ধমান জেলার ‘বর্ধমান ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব চর্চাকেন্দ্র’-র কাছে ‘রাঢ় বাংলার ভাদু গান’ নিয়ে গবেষণার সুযোগ পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি একাধিক বার। খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেছি ভাদু গানের উৎস।

ভাদু গান-কেন্দ্রিক লোক-উ়ৎসব। সে উৎসবের উৎস খুঁজতে গিয়ে পেয়েছি, নানা কিংবদন্তি। বিভিন্ন গবেষক, লেখক, ভাদু শিল্পীদের দেওয়া তথ্যানুসারে কিংবদন্তির বিভিন্ন রূপ কেমন? ভাদুই বা কে? এ নিয়ে নানা কিংবদন্তী রয়েছে। যেমন, অনেকে মনে করেন ‘ভাদ্র’ মাস থেকে ভাদু শব্দটি এসেছে। আবার কেউ বলেন, ভাদু মানে লক্ষ্মী। যে হেতু লক্ষ্মী বিভিন্ন সময়ে পূজিত হন, তাই ভাদ্র মাসের লক্ষ্মীকে পৃথক ভাবে চিহ্নিত করার জন্য ভাদু পুজোর প্রচলন হয়। অন্য মতও রয়েছে। সেই মতে ভাদুর সঙ্গে বাস্তবের কাহিনি জড়িয়ে আছে।

এই মতে ভদ্রাবতীর সংক্ষিপ্ত নাম ভাদু। তিনি পুরুলিয়ার এক রাজা নীলমণি সিংহদেওয়ের কন্যা। তিনি অন্ত্যজ শ্রেণির এক জনকে ভালবাসতেন। পিতা মেনে নিতে পারেননি। তাই ভাদু আত্মহত্যা করেন। রাজা মেয়ের স্মৃতিতে শুরু করেন ভাদু পুজো। কেউ কেউ বলেন প্রেম নয়, ভাদু ব্যাধির কারণে মৃত্যুবরণ করেন। রাজা মেয়েকে হারিয়ে তাঁর নামে চালু করেন স্মৃতি-তর্পণ।

আবার এক মতে, ভাদু কাশীপুরের রাজার মেয়ে। বিয়ে ঠিক হয়েছিল বর্ধমানের রাজকুমারের সঙ্গে। বিয়ের দিন বর বেশে যাত্রা পথে রাজকুমারের ম়ৃত্যু ঘটে লেঠেলদের হাতে। ভাদু আত্মহত্যা করেন। অনেকে আবার ভাদুর সঙ্গে মীরাবাই-এর মিল পান। সে খানে রাজকন্যা ভাদু, জন্ম থেকে তিনি মীরার মতো কৃষ্ণভক্তি পরায়ণা। রাজা তাঁর বিবাহ ঠিক করলে ভাদু মন্দিরে নিজের প্রাণ ধ্যানস্থ অবস্থায় ত্যাগ করেন। কেউ কেউ ভাদুকে বাঁকুড়ার মল্ল রাজাদের কন্যা ভদ্রাবতী বলে মনে করেন। তাঁর অকালমৃত্যুতে ভাদু পুজোর প্রচলন।

অনেকের মতে সাঁজপুজুনি, পুণ্যিপুকুরের মতো না হলেও এয়োস্ত্রী মহিলাদের শাঁখা-সিঁদুর নিয়ে সংসার জীবনে সুস্থ থাকার জন্য এ এক ধর্মীয় ব্রত। কেউ কেউ বলেন ভাদু বীরভূমের সন্তান। তাই বীরভূমে ভাদু পুজোর এত প্রসার। আবার বর্ধমানের সঙ্গে ভাদুর যোগ খুঁজে পান কেউ কেউ। অবিভক্ত বর্ধমানের খনি অঞ্চলে ‘ভাদা গান’ বলে একটি লোক-সংস্কৃতি প্রচলিত ছিল। এখনও কিছু কিছু জায়গায় তার প্রচলন রয়েছে। তার নামে ভাদু পুজো।
উপরের এই সব মত থেকে নানা প্রশ্ন উঠে আসে। যেমন ভাদ্র মাস থেকে কি ভাদু পুজো? সত্যের খোঁজ পাওয়া ভার। কারণ, সব লোক- উৎসবের সঙ্গে মাসের নাম জড়িয়ে থাকে এমনটা নয়।

ভদ্রাবতী সম্বন্ধে জানা যায়, তিনি পুরুলিয়ার রঘুনাথগঞ্জ মহকুমার অন্তর্গত কাশীপুরের রাজা নীলমণি সিংহদেওয়ের কন্যা। তাঁর মায়ের নাম অনুপকুমারী বা কলাবতী। যদিও অনেকের মতে দু’টি নামই একই ব্যক্তির। স্থানীয় গবেষকদের অনুমান, ভদ্রাবতীর জন্ম ১৮৪১ খ্রিস্টাব্দে। যদিও পঞ্চকোট রাজবংশলতিকায় ভদ্রাবতীর নাম নেই। কিন্তু নীলমণি সিংহদেওয়ের নাম রয়েছে। গবেষকদের একাংশের দাবি, ভদ্রাবতী ১৭ বছর বেঁচে ছিলেন। ১৮৫৮ সালে বিয়ের আগের দিন কোনও এক আকস্মিক কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। একমাত্র কন্যার মৃত্যুতে রাজা শোকাহত হয়ে পড়েন। প্রজাকুলের ইচ্ছায় মিত্র-মন্ত্রীদের সহযোগিতায় শুরু হয় ভাদুর স্মৃতি তর্পণ।

এখানে একটা কথা জানিয়ে রাখা ভাল, ভাদুর জন্ম এবং মৃত্যু দুই-ই ভাদ্র মাসে। তাই ভাদ্র মাসে হিন্দুদের কোনও বিবাহ থাকে না। তবুও একটা প্রশ্ন জাগে যেখানে পঞ্চকোট রাজবংশের বংশলতিকায় ভাদুর নাম নেই, সেখানে কি করে বোঝা যায় যে ভাদু নীলমণি সিংহদেওয়ের কন্যা? পুরুলিয়ার কিছু গবেষক যেমন সুনীল মাহাতো, হারাধন মাহাতো, রবীনকুমার পান্ডে, ভোলানাথ চক্রবর্তী, মৌসুমী কোলে এবং ভাদু শিল্পী ও লেখক গিয়াসুদ্দিন শেখ, বংশধর সিংহ—এদের প্রত্যেককে এই প্রশ্ন করে যে জবাব পাওয়া যায়, তা হল—যদি ভদ্রাবতীর পিতা নীলমণি না-ই হবেন, তবে এত দিন ধরে তাঁদের বাবা-মেয়ের নামে গান বাঁধা হচ্ছে কেন? নীলমণি তো কাল্পনিক চরিত্র নন।

ধর্মীয় মতে ভাদ্র মাসে যে রমণী লক্ষ্মীপুজো করেন তাঁর উপরে যশোলক্ষ্মী, ভাগ্যলক্ষ্মী, কুললক্ষ্মী প্রসন্ন হন। সেই সূত্রে মনে হয়, ভাদু আসলে শস্যদেবী। ধান ওঠার ফলে চাষিদের ঘরে শস্য বন্দনার যে রেওয়াজ ছিল, তা নানা বিবর্তনের ফলে গড়ে ওঠে ভাদুদেবী রূপে।

গ্রামবাংলার সংস্কৃতি ও লোকগান
প্রথম পর্ব-ভাদুগান

গীতি কবিতা-১ সুর-প্রচলিত

এই ভাদর মাসে-
ভাদুপূজা করবো আমরা একসাথে।
(২ বার)
ভাদ্রমাসে ভরা নদী কানায় কানায় বান,
এক ফোঁটা বৃষ্টি নেই শুকিয়ে গেল ধান।
……এই ভাদর মাসে-
ভাদুপূজা করবো আমরা একসাথে।
(২ বার)
ভাদ্রমাসে ভাদু পূজা করবো আমরা সবে,
সংক্রান্তিতে অজয়নদে ভাদু বিসর্জন হবে।
……এই ভাদর মাসে-
ভাদুপূজা করবো আমরা একসাথে।
(২ বার)
আমার ভাদু ছোটশিশু কথা বলতে পারে না,
ও সরলা, ও চপলা ভাদুগান কেন করিস না।
…..এই ভাদর মাসে-
ভাদুপূজা করবো আমরা একসাথে।
(২ বার)
রাণীগঞ্জের পাশে আছে কয়লার খাদ আমকলা,
কয়লা খাদে দেখতে পাবি কত শত ডুলি চলা।
…..এই ভাদর মাসে-
ভাদুপূজা করবো আমরা একসাথে।
(২ বার)

………………………………….
ভাদু পুজোর ইতিহাস ভাদু উৎসব নিয়ে মানভূম অঞ্চলে লোকগাথায় বলে, পঞ্চকোট রাজপরিবারের রাজকন্যা ভদ্রাবতীর বিয়ের দিন বিয়েবাড়িতে ডাকাত দল এসে বরযাত্রী সহ খুন করে ভদ্রাবতীর স্বামীকেও। সেই শোকে সহমরণে যান ভদ্রাবতী। সেই ঘটনা স্মরণ করতেই এই পুজো। সঙ্গে গাওয়া হয় বিশেষ লোকসঙ্গীত ভাদু গান।

ভাদু পুজার রীতি রাঢ় বাংলার একটা বিশাল অংশ জুড়ে প্রচলিত রয়েছে ভাদু পুজা। ভাদ্রসংক্রান্তির দিন , বাড়িতে একটি পাত্রে ফুল রেখে ভাদুর বিমূর্ত রূপ কল্পনা করে গ্রামের কুমারী মেয়েরা সমবেত কন্ঠে ভাদু গীত গেয়ে থাকেন। এরপর সংক্রান্তিতে ভাসান পর্বও সেরে ফেলা হয়।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

14 thoughts on “গ্রামবাংলার সংস্কৃতি ও লোকগান প্রথম পর্ব-ভাদুগান

  1. অভিনন্দন মি. লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী। শেয়ার করার জন্য আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

    1. অনেক অনেক ধন্যবাদ রইল। সাথে থাকবেন কবিবর।
      আপনার মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। জয়গুরু!

  2. অনেক কিছু জানা হলো কবি দা। শেয়ার ভালো হয়েছে। আই এপ্রিশিয়েট। 

    1. I also appriciate you for your sweet comment.
      সাথে থাকবেন, এটা প্রত্যাশা করি।
      জয়গুরু!

    1. শারদীয়ার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন প্রিয়কবি।
      মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। সাথেই থাকুন সর্বদা।
      জয়গুরু!

    1. ধন্যবাদ প্রিয় কবিবোন। সাথেই থাকবেন।
      আশা রাখি। জয়গুরু!

  3. ভাদুগান
    তথ্যসংগ্রহ, সম্পাদনা ও গীতরচনা- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী।

    অভিনন্দন কবি। :)

    1. শারদীয়ার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন প্রিয়কবি দিদি।
      মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। সাথেই থাকুন সর্বদা।
      জয়গুরু!

    1. শারদীয়ার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন প্রিয়কবি বোন।
      মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। সাথেই থাকুন সর্বদা।
      জয়গুরু!

  4. পুরোটা পড়েছি। জলপাইগুড়ি দিদি বাড়িতে যখন ছিলাম, তখন সেখানেও এই পূজা হতে বা করতে দেখেছি। তবে ভাদু গান সম্বন্ধে বিশেষ কোনও ধারণা আমার নেই । তাছাড়া আমাদের বাংলাদেশেও এই ভাদু পূজার প্রচলন আছে বলে মনে হয় না । তা না থাকুক। সব জায়গায় যে থাকতে হবে এমন কোনও কথাও নেই।কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে যে এই পূজো হয়ে থাকে, তা আমি নিজেও দেখেছি। তবে এই ভাদু পূজার বিষয় আশয় আমার জানা ছিল না৷ যা জানা হলো আপনার সুলেখিত লেখনী পড়ে৷ এই জানা একসময় অনেক কাজে লাগতে পারে বলে মনে করি৷।                      

    1. পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাঁচি ও হাজারিবাগের লৌকিক উৎসব ভাদু। বাঁকুড়া জেলার মধ্যে এই উৎসবের প্রচলন বেশি দেখা যায় খাতড়া মহকুমা ও দক্ষিণ বাঁকুড়ায়। খাতড়া, রানিবাঁধ, ইন্দপুর, হিড়বাঁধ, সিমলাপাল, লক্ষ্মীসাগর-সহ বিভিন্ন গ্রামে ভাদ্র মাসের ভাদু পরবে মেতে ওঠেন কুমারী মেয়েরা। বাঁকুড়ার শালতোড়া, ছাতনা ব্লকের গ্রামেও চল রয়েছে ভাদুর।

      ভাদ্র মাসের প্রথম দিন কুমারী মেয়েরা বাড়ির কুলুঙ্গি বা প্রকোষ্ঠ সাফ করে ভাদু প্রতিষ্ঠা করেন। একটি পাত্রে ফুল রেখে ভাদুর বিমূর্ত রূপ কল্পনা করে তাঁরা সমবেত কণ্ঠে ভাদু গান গেয়ে থাকেন। ভাদ্র সংক্রান্তির সাতদিন আগে ঘরে আনা হয় ভাদুর মূর্তি। ভাদ্র সংক্রান্তিতে সারা রাত জেগে ভাদু উৎসব হয়। এই দিনটি হল ভাদুর জাগরণ। এ দিন ঘর সাজিয়ে মূর্তি স্থাপন করে তার সামনে রাখা হয় নানা রকমের মিষ্টান্ন- খাজা, মণ্ডা, মিঠাই, লাড্ডু কিংবা জিলিপি। সারা রাত ধরে গাওয়া হয় ভাদুর গান। পরের দিন অর্থাৎ পয়লা আশ্বিন স্থানীয় নদী কিংবা জলাশয়ে ভাদু বিসর্জন হয়।

      শারদীয়ার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন প্রিয়কবি ।
      মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। সাথেই থাকুন সর্বদা।
      জয়গুরু!

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।