গ্রামবাংলার সংস্কৃতি ও লোকগান চতুর্থ পর্ব-কীর্তনগান-৪

গ্রামবাংলার সংস্কৃতি ও লোকগান
চতুর্থ পর্ব-কীর্তনগান
তথ্যসংগ্রহ, সম্পাদনা ও কীর্তনগান রচনা- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

গ্রাম বাংলার লোকসংস্কৃতি গড়ে উঠেছে শীতলা, লক্ষ্মী, নারায়ণী, মনসা, চণ্ডী, দুর্গা, ষষ্ঠী, বিশলাক্ষী, সন্তোষীমা ইত্যাদি দেবী পালায়; দক্ষিণরায়, চাষী মহাদেব, ধর্মঠাকুর, পঞ্চানন্দ, বসন্তরায়, বেনাকী, শনি ইত্যাদি দেব পালায়; বনবিবি, সাতবিবি, দরবারবিবি, ওলাবিবি, নয়বিবি, আসানবিবি, আওরজবিবি ইত্যাদি বিবিপালায় এবং মানিকপীর, মাদারপীর, বড়খাঁ গাজী, হযরত জাবের, বড় পীর সাহেব, পীরগোরাচাঁদ, দেওয়ান গাজী, সত্যপীর, মোবারক গাজী, রক্তানগাজী ইত্যাদি পীর ও গাজী পালায়। হিন্দু-মুসলমান মিলিত ধারার এইসব পালা-পাঁচালীর মধ্যে লুকিয়ে আছে গ্রাম বাংলার লোকায়ত ধারার এক অসম্প্রদায়িক ঐতিহ্য। যমুনা, ইছামতি, কালিন্দী, রায়মঙ্গল পরিবেশিষ্টত এবং সুন্দরবন বা ব্যাঘ্রতট খ্যাত এই গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ অঞ্চলটি তাই সমগ্র বাংলার লোক ঐতিহ্যের এক উন্নত আলয়। যার লোককৃতি, লোকায়তকৃতি বাংলার লোক ঐতিহ্যের এক সমৃদ্ধ সংস্কৃতির রূপায়ন।

গ্রাম বাংলার ধুতি ও শাড়ি ছিল প্রধান পরিধেয় বস্ত্র। ছোট বড়, নারী পুরুষ সকলেই গামছা ব্যবহার করতো। কেবল উৎসবে কাঁধে দোপাট্টা, তসর ও টেলির প্রচলন ছিলো। হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে এই ঐতিহ্য ছিলো একাকার। চিড়া, খৈ, মুড়ি ও পিঠা ছিল নিত্য দিনের নাস্তা। কাসার থালা, ঘটি, বাটি, গাড়– এবং মুসলমানের তামার বদনা ছিল ব্যবহারের মূল উপকরণ। পিতল ও মাটির হাড়ি, মাটির প্রদীপ, নারকেলের হুকা ও পিতলের গড়গড়া ছিলো পান ও রন্ধনের উপকরণ। শীলত পাটি, হোগলার পাটি, সাপনার বিছানা ও খেজুর পাতার পাটি ছিল শয়নের শয্যা।

একই অবস্থাপন্ন বাড়ি হলেই সিং দরজার প্রচলন ছিলো এবং কাঠের নকশি করা সিন্দুকের। নকশিকাঁথা ছাড়া ঘুমুতো না কেউ। বালিশে ব্যবহার করা হতো নকশি কাঁথার ওয়াড়। শিক্ষা শুরু হতো তালপত্রে বাঁশের কলম ও কয়লার কালি দিয়ে। নামতা, শতকিয়ার সাথে শেখানো হতো কড়াকিয়া, গন্ডাকিয়া, কাঠাকালি, বিখাকালি, মনকষা। শিক্ষক বা পাণ্ডিত বসতেন ছোট চৌকিতে বেত হাতে আর ছাত্ররা খেজুর পাতার ছোট ছোট চাটাইতে। রাত জেগে সুর করে পুঁথি পড়া হতো, পাঠ হতো বিষাদ সিন্ধু। বালু কীর্তন, ভাসান শুনতে যেত দলে দলে। এসব ঐতিহ্যের ছিটে ফোঁটাও এখন অবশিষ্ট নেই এখানে। এখন সবই স্মৃতি আর শ্রুতি। সেই অসম্প্রদায়িক ঐতিহ্যের দিনগুলো আজ শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলে।

“দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না “

গ্রামবাংলার সংস্কৃতি ও লোকগান
চতুর্থ পর্ব-কীর্তনগান-৪
শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণের রাসলীলা পালাকীর্তন গান-৪
গীতরচনা- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

কীর্তন দু প্রকার। নাম কীর্তন ও পালা কীর্তন।
নাম কীর্তন
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।
সকলেই একসাথে গাইতে গাইতে চলে। সাথে থাকে হারমোনিয়াম, খোল বা মৃদঙ্গ, করতাল। পরণে ধুতি গেঞ্জি, ফুলহাতা গেঞ্জি, চাদর। গেরুয়া, সবুজ, সাদা সব রকমের হয়।
সকালের কপালে চন্দনের ফোঁটা, ও গলায় ফুলের মালা থাকে।

পালাকীর্তন
শ্রী কৃষ্ণের বাল্যলীলা, রাসলীলা, গৌরাঙ্গলীলা, পালাকীর্তন নামে খ্যাত। এই কীর্তন দলে একজন মূলগায়ক বা মূলগায়িকা, দুই জন খোল বা মৃদঙ্গ বাদক, হারমোনিয়াম বাদক, বীণা বাদক, করতাল বাদক সকলকে দোহারি বলে। পালাকীর্তন পরিবেশন করা হয় ভক্তিযুক্তভাবে।

সকলেই প্রারম্ভে জয়ধ্বনি দেন।
প্রেমানন্দে শ্রী শ্রী গৌর হরি হরি বোল………..
খোল করতাল সহযোগে মধুর স্বরে বাজতে থাকে।

এসো এসো গৌরাচাঁদ সংকীর্তন আসরে।
ভক্তি ভরে পূজবো তোমায় প্রেম অশ্রুজলে।।

পূজা করিব! পূজা করিব। ভক্তিপুষ্প অর্ঘ দিয়ে পূজা করিব।
আর কিছু নাই আমার। নয়নের বারি ছাড়া আর কিছু নাই আমার।
(মাতান)

খোল ও করতাল একসাথে বাজে। সকলেই হরি হরি বোল বলে জয়ধ্বনি দেন।
তদনন্তর মূলগায়ক বা মূলগায়িকা প্রবেশ করেন। গলায় ফুলের মালা কপালে তিলক আঁকা। সশ্রদ্ধচিত্তে সাষ্টাঙ্গে প্রণিপাত করেন। মুখে উচ্চারণ করেন নিতাই নিতাই হরি বোল।

সুরে গাইতে থাকেন।
মান রস গোরা চাঁদ করিলা প্রকাশ হে এ এ এ……..

(তাল ডাঁশপাহিরা)
প্রথম খোলবাদক:

(শ্রীখোল বাজাতে বাজাতে )
তেরে খেটা, তাক তেরে খেটা, ধেরে তেরে তাক তেরে খেটা ঝা ঝা ঝা ………

দোহারি সকলে বলে: (করতাল বাজিয়ে গেয়ে ওঠে)
মান রস গোরা চাঁদ করিলা প্রকাশ হে এ এ এ……..

দ্বিতীয় খোলবাদক:
(শ্রীখোল বাজাতে বাজাতে )
তাক ঝাঁ তাক ঝাঁ তাক ঝাঁ

তেরে খেটা তাক তেরে তেরে খেটা তাক তাক তেরে খেটা তাক ঝাঁ…………….
ঘর্মাক্ত কলেবরে শ্রী খোল বাদকদ্বয় বাজাতে বাজাতে চাদরে ঘাম মুছে নেয়।
মুলগায়িকা তত্পরে উঠে গান পরিবেশন করার আগে কিছু বক্তব্য পেশ করেন।

আজ আমাদের এই পাথরচুড় গ্রামে শ্রী শ্রী হরি মন্দিরে আমি যে পালাটি পরিবেশন করবো তার নাম শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণের রাসলীলা। আমার ভক্তিমতী মায়েরা ও পূজনীয় গুরুজনদের শ্রীচরণে প্রণাম জানিয়ে আমি কীর্তনগান পরিবেশন করবো, দোষ ত্রুটি মার্জনা করবেন।

চেত দর্পণ মার্জনং ভব মহা দাবাগ্নি নির্বাপনম।
শ্রেয় কৌরবচন্দ্রিকা বিতরণং বিদ্যাবধূজীবনম।।

গীত:
হে কৃষ্ণ করুণাসিন্ধো দীনবন্ধু জগত্পতে।
গোপেশ গোপীকা কান্ত রাধাকান্ত নমোহস্তুতে।।

জগদ্বিধাতা ঈশ্বরের বাক্য শ্রবণ করিয়া রাধা কৃষ্ণকে প্রণাম করত: নিজ মন্দিরে গমন করিলেন। ব্রহ্মা প্রস্থান করিলে দেবী রাধিকা সহাস্যবদনে সকটাক্ষ নেত্রে কৃষ্ণের রদনমন্ডল বারংবার দর্শন করত: লজ্জায় মুখ আচ্ছাদন করিলেন। অত্যন্ত কামবানে পীড়িত হওয়াতে রাধিকার সর্বাঙ্গ পুলকিত হইল। তখন তিনি ভক্তিপূর্বক কৃষ্ণকে প্রণাম করত: তাহার শয়নাগারে গমন করিয়া কস্তুরী কুম্কুম মিশ্রিত চন্দন ও অগুরুর পন্ক কৃষ্ণের বক্ষে বিলেপন করিলেন এবং স্বয়ং কপালে তিলক ধারন করিলেন।

এই যে আমার ভক্তিমায়েরা, আপনারা অনুগ্রহ করে চিত্কার না করে নাম গান শ্রবণ করুন। তৎপর কৃষ্ণ রাধিকার কর ধারন করিয়া স্বীয় বক্ষে স্থাপন করত: চতুর্বিধ চুম্বনপূর্বক তাহার বস্ত্র শিথিল করিলেন। হে সুমে । রতি যুদ্ধে ক্ষুদ্র ঘন্টিকা সমস্ত বিচ্ছিন্ন হইল, চুম্বনে ওষ্ঠরাগ, আলিঙ্গনে চিত্রিত পত্রাবলী, শৃঙ্গারে করবী ও সিন্দুর তিলক এবং বিপরীত বিহারে অলকাঙ্গুর প্রভৃতি দূরীভুত হইল। রাধিকার সরসঙ্গম বশে পুলকিত হইল। তিনি মুর্ছিতা প্রায় হইলেন। তার দিবা-রাত্রি জ্ঞান থাকিল না। কামশাস্ত্র পারদর্শী কৃষ্ণ অঙ্গ-প্রতঙ্গ দ্বারা রাধিকার অঙ্গ-প্রতঙ্গ আলিঙ্গন করত: অষ্টবিধ শৃঙ্গার করিলেন, পুর্নবার সেই বক্রলোচনা রাধিকাকে করিয়া হস্ত ও নখ দ্বারা সর্বাঙ্গ ক্ষত-বিক্ষত করিলেন।

শ্রীকৃষ্ণ কর্তৃক নিষ্ঠুরভাবে শরীর ক্ষত-বিক্ষত হওয়ায় এবং সারা রাতভর যৌন নিপীড়নের কারণে প্রভাতকালে দেখা গেল রাধিকার পরিহিত বস্ত্র এত বেশী রক্ত রঞ্জিত হয়ে পড়েছে যে, লোক লজ্জায় রাধিকা ঘরের বাইরে আসতে পারছেন না। তখন শ্রীকৃষ্ণ দোল পুজার ঘোষনা দিয়ে হোলি খেলার আদেশ দেন। সবাই সবাইকে রঙ দ্বারা রঞ্জিত করতে শুরু করে। তাতে রাধিকার বস্ত্রে রক্তের দাগ রঙের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়। সেই থেকে হোলি খেলার প্রচলন শুরু হয়।

হিন্দু পুরাণে কথিত হয়েছে গোপিনীদের সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলার কাহিনী। আপনার কি মনে হয়, এসব গল্পকথা মাত্র? তাহলে জেনে রাখুন, এই ভারতের বুকেই এমন জায়গা রয়েছে যেখানে নাকি আজও রোজ রাত্রে গোপিনীদের সঙ্গে লীলাখেলা করেন স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ।

বৃন্দাবনের ‘বাঁকে বিহারী’ কৃষ্ণের একটি পবিত্র মন্দির। মন্দিরটি নিধিবন নামের ঘন অরণ্যে আবৃত। ‘নিধি’ কথার অর্থ সম্পদ, আর ‘বন’ কথার অর্থ অরণ্য। এই অরণ্যের গাছগুলির এক অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। গাছগুলির কাণ্ডগুলি ফাঁপা, এবং ডালপালাগুলি নীচের দিকে নামানো। ভক্তেরা বলেন, এই গাছগুলি আসলে ছদ্মবেশী গোপিনী। রাত্রিবেলা নাকি এই গোপিনীরা তাঁদের স্বরূপ ধারণ করে শ্রীকৃষ্ণ আর রাধার সঙ্গে রাসলীলা করেন। কৃষ্ণভক্তির টানে ভক্তেরা দূরদুরান্ত থেকে ছুটে আসেন এই মন্দিরে। তাঁদের কন্ঠ নিঃসৃত কৃষ্ণনামকীর্তন ও মন্ত্রে গুঞ্জরিত হতে থাকে বনভূমি ও মন্দিরপ্রাঙ্গন। মন্দির চত্ত্বরে একটি কুয়ো রয়েছে। কথিত আছে, কৃষ্ণের সঙ্গে রাসলীলা চলাকালীন রাধা তৃষ্ণার্ত বোধ করলে কৃষ্ণ তাঁর বাঁশি দিয়ে এই কুয়ো তৈরি করে দেন, এবং রাধা তৃষ্ণা নিবারণ করেন সেই কুয়োর জল খেয়ে। মন্দিরের ভিতরে রাধা-কৃষ্ণের অসামান্য কারুকার্যমণ্ডিত একটি মূর্তি রয়েছে। এই বিগ্রহের সৌন্দর্যও আকর্ষণ করে বহু ভক্তকে।

সন্ধ্যারতির পর এই মন্দিরের সমস্ত জানলা-দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সারারাত এগুলো বন্ধই রাখা হয়। রাত্রে নাকি এই বনভূমিতে অবতীর্ণ হন স্বয়ং কৃষ্ণ। তিনি গোপিনীদের সঙ্গে মহা রাসলীলায় মত্ত হন। কৃ্ষ্ণকে স্বাগত জানানোর জন্য বনভূমি আলোকিত হয়ে ওঠে। স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে অনেকেই দাবি করেন, তাঁরা রাত্রে এই বনভূমিতে নূপুরের শব্দ শুনেছেন। কিন্তু স্বচক্ষে কি কেউ দেখেছেন রাধাকৃষ্ণের সেই লীলা? না, সেটা সম্ভব নয়। কারণ মন্দির কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী সূ্র্যাস্তের পর আর কাউকে এই মন্দির চত্বরে থাকতে দেওয়া হয় না। কেউ কেউ নাকি সেই নির্দেশ অমান্য করেই মহা রাসলীলা প্রত্যক্ষ করবেন বলে লুকিয়ে রাত্রে থেকে গিয়েছিলেন এই মন্দিরে। পরদিন সকালে হয় সেইসব মানুষকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, অথবা তারা সম্পূর্ণ উন্মাদ হয়ে গিয়েছেন।
সন্ধ্যার পূজার পর মন্দিরের বিগ্রহের সামনে কিছু লাড্ডু, চুড়ি, শাড়ি বা পান পাতা রেখে দেওয়া হয়। তারপর বন্ধ করে দেওয়া হয় মন্দিরের দরজা। পরদিন সকালে দরজা খুলে দেখা যায় সমস্ত উপকরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। এমনকী পানের পাতা ও লাড্ডুও পড়ে রয়েছে অর্ধভুক্ত অবস্থায়। ভক্তেরা বিশ্বাস করেন, রাধা-কৃষ্ণই লীলার শেষে এই মন্দিরে আসেন বিশ্রামের জন্য, এবং তাঁরাই সেই সময় ওই পান ও লাড্ডু খেয়ে ক্ষুধা নিবৃত্তি করেন।

গীত:
রাই কানু দুহু তনু মিলন হইল।
সবে মিলে বাহু তুলে রাধা রাধা বল।।

দোহারীগণ:

রাধা রাধা
গোবিন্দ বল জয়…
রাধা কৃষ্ণের জয় হোক।
জয় রাধা রাধা রাধা রাধা।

গীত শেষে সকলেই পয়সা, চাউল, আলু সহ সামগ্রী কীর্তনের আসরে সযত্নে রক্ষিত পাত্রে প্রণাম করত প্রদান করে। কেহ কেহ সুমিষ্টান্নও প্রদান করে।
পরে মাইকে ঘোষিত হয়।
আগামীকাল এই আসরে পরিবেশনা করা হবে সামাজিক যাত্রাপালা সিঁথির বিবর্ণ সিঁদুর।
পরিবেশনায় ভাণ্ডারী অপেরা। প্রযোজনা ও সম্পাদনা ও নির্দেশনায়- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী।
সুর- আলোকরঞ্জন, আলো- দিব্যেন্দু পাঠক মঞ্চ ও সজ্জা: রতন কুমার লাহিড়ী।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

18 thoughts on “গ্রামবাংলার সংস্কৃতি ও লোকগান চতুর্থ পর্ব-কীর্তনগান-৪

  1. যথেষ্ঠ পরিশ্রম করেছেন পোস্ট উপস্থাপনের জন্য। আপনার সংগ্রহশালা অনেক সমৃদ্ধ কবি। 

  2. এসব ঐতিহ্যের ছিটে ফোঁটাও এখন অবশিষ্ট নেই এখানে। এখন সবই স্মৃতি আর শ্রুতি। সেই অসম্প্রদায়িক ঐতিহ্যের দিনগুলো আজ শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলে।

    “দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না।“ ___ আসলেই তাই কবি মি. ভাণ্ডারী। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    1. মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। সাথে থাকবেন প্রত্যাশা করি।
      জয়গুরু!

    1. ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
      মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। সাথে থাকবেন।
      জয়গুরু!

    1. ধন্যবাদ জানাই আপনাকে প্রিয় কবিবর।
      মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। সাথে থাকবেন।
      জয়গুরু!

  3. রাধা রাধা
    গোবিন্দ বল জয়…
    রাধা কৃষ্ণের জয় হোক।
    জয় রাধা রাধা রাধা রাধা।

    গ্রামবাংলার সংস্কৃতি ও লোকগানের সংকলনে অভিনন্দন প্রিয় কবি দা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

    1. ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
      মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। সাথে থাকবেন।
      জয়গুরু!

  4. রাত জেগে সুর করে পুঁথি পড়া হতো, পাঠ হতো বিষাদ সিন্ধু। বালু কীর্তন, ভাসান শুনতে যেত দলে দলে। এসব ঐতিহ্যের ছিটে ফোঁটাও এখন অবশিষ্ট নেই এখানে। এখন সবই স্মৃতি আর শ্রুতি। সেই অসম্প্রদায়িক ঐতিহ্যের দিনগুলো আজ শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলে। :(

    1. ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। পাতায় সুস্বাগতম প্রিয়কবি।
      মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। সাথে থাকবেন।
      জয়গুরু!

    1. ধন্যবাদ জানাই আপনাকে প্রিয় কবিপ্রতীম।
      মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। সাথে থাকবেন।
      জয়গুরু!

    1. সংগ্রহে রাখুন। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
      শুভেচ্ছা জানাই। জয়গুরু!

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।