অজয় নদীর জলধারা……. বয়ে চলে বারো মাস (চতুর্থ পর্ব)
সম্পাদনা ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী।

অজয় নদ একটি বন্যাসঙ্কুল নদী যা গঙ্গার অন্যতম প্রধান শাখা ভাগীরথী হুগলির উপনদী। অজয় নামটির অর্থ যাকে জয় করা যায় না। জামুই জেলা চাকাই ব্লকের বাটপার অঞ্চলের ৩০০ মিটার উচু পাহাড় থেকে উৎসারিত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে এটি দেবীপুরের নিকটে ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করে (দেওঘরের প্রস্তাবিত শিল্প অঞ্চল) দিয়ে গিয়ে অজয় নদ ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে বয়ে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের চিত্তরঞ্জন-এর নিকট শিমজুড়িতে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে এবং এটি প্রথম এবং ঝাড়খণ্ড হয়ে এবং পরে পশ্চিম বর্ধমান জেলা এবং বীরভূম জেলার সীমানা হয়ে পূর্বে প্রবাহিত হয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার কেতুগ্রাম থানার নারেং গ্রামের প্রবেশ করে কাটোয়া শহরের কাছে ভাগীরথী নদীর সংগে মিলিত হয়েছে। অজয় নদের মোট দৈর্ঘ্য ২৮৮ কিলোমিটার (১৭৯ মাইল) তার মধ্যে শেষ ১৫২ কিলোমিটার (৯৪ মাইল) পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে।

অজয় নদীর জলধারা…….বয়ে চলে বারো মাস
অজয় নদীর কবিতা-৪ (চতুর্থ পর্ব)

কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

অজয় নদীর ধারা সদা বয়ে চলে,
ছল ছল কল কল কত কথা বলে।
দুইতীরে ছোট গ্রাম মাঝে নদী বয়,
মাথায় বোঝাই লয়ে যাত্রী পার হয়।

পূবের আকাশে হেরি সোনারবি হাসে,
পাখা মেলে সাদা বক নদীচরে আসে।
নদীধারে মাঠে মাঠে চাষী কাটে ধান,
রাখালের বাঁশি সুরে মেতে ওঠে প্রাণ।

কলসীতে জল ভরে বধূ চলে ঘরে,
সোনারোদ পড়ে ঝরে রাঙাপথ পরে।
নদীচরে আসে উড়ে শালিকের দল,
সারাদিন নাচে গায় করে কোলাহল।

পাখিরা বাসায় ফেরে সাঁঝের বেলায়,
সাঁঝের আঁধার নামে নদী কিনারায়।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

6 thoughts on “

  1. কামনা করি পৃথিবী নামক গ্রহটা যে পর্যন্ত বেঁচে থাকে, কবির প্রাণের অজয় নদীর জলধারা হয়ে চলুক! 

    শ্রদ্ধেয় কবিকে শুভেচ্ছা।      

    1. আপনার সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ ও অনুপ্রাণিত হলাম।
      শুভেচ্ছা রইলো প্রিয়কবির জন্য।
      থে থাকবেন- প্রত্যাশা করি।
      জয়গুরু!

  2. অজয় নদী  করির লেখায় বহতা নদীর মত বইছে

    শুভকামনা রইল কবিhttps://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

    1. আপনার সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ ও অনুপ্রাণিত হলাম।
      শুভেচ্ছা রইলো প্রিয়কবির জন্য।
      থে থাকবেন- প্রত্যাশা করি।
      জয়গুরু!

  3. অজয় নদীর বয়ে চলা হোক আরো গতিময়। কবির প্রাণে দোলা দিয়ে যাক জীবনভর।   

    1. আপনার সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ ও অনুপ্রাণিত হলাম।
      শুভেচ্ছা রইলো প্রিয়কবির জন্য।
      থে থাকবেন- প্রত্যাশা করি।
      জয়গুরু!

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।