শীতে কাঁপি ঠক ঠক ……. শীত এলো ভাই ষষ্ঠ পর্ব শীতের কবিতা-৬

শীতে কাঁপি ঠক ঠক ……. শীত এলো ভাই
ষষ্ঠ পর্ব শীতের কবিতা-৬

কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

শীতের রাতে ঘুম আসে না
বিছানায় জড়োসড়ো,
লেপ তোষক কম্বল আর
কাঁথা নিয়ে শুয়ে পড়ো।

দরজায় এঁটে দাও খিল,
করো নাকো কোন গোঁজামিল,
ফাঁক নাহি থাকে একতিল,
জানালাটা বন্ধ করো।

শীতের রাতে কুকুরগুলো,
বেজায় রকম ডাকছিলো,
তাই না শুনে বিড়াল হুলো,
ভয় পেয়েছিলো বড়ো।

পাহারাওয়ালা লাঠি হতে
সেথা এসে হলো জড়ো।
লেপ তোষক কম্বল আর
কাঁথা নিয়ে শুয়ে পড়ো।

গভীর রাতে শেয়াল ডাকে,
দূরে অজয় নদীর বাঁকে,
শাল পিয়াল বনের ফাঁকে
ঝিঁঝিঁরা ডাকে কেমনতরো?

সকাল হলো এবার উঠো
এখনো কি জড়োসড়ো?
ভোর হয়েছে সকাল হলো
চায়ের জল গরম করো।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

1 thought on “শীতে কাঁপি ঠক ঠক ……. শীত এলো ভাই ষষ্ঠ পর্ব শীতের কবিতা-৬

  1. সকাল হলো এবার উঠো
    এখনো কি জড়োসড়ো?
    ভোর হয়েছে সকাল হলো
    চায়ের জল গরম করো। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।