সূর্য গ্রহণ (বিবিধ কবিতা)

সূর্য গ্রহণ (বিবিধ কবিতা)
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

বর্ষশেষে আজি শেষ সূর্যের গ্রহণ,
ভারতে আংশিক দৃশ্য কহে সর্বজন।
গ্রহণ চলাকালীন না কর আহার,
বিজ্ঞানসম্মত যাহা কহিলাম সার।

চন্দ্র যবে পৃথিবী ও সূর্য মধ্যস্থানে
ভ্রাম্যমান গতিপথে এক অবস্থানে।
তখন গ্রহণ হয় কহয়ে বিজ্ঞান,
বিশ্বমাঝে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে দৃশ্যমান।

বর্ষমধ্যে দুইবার সূর্যের গ্রহণ,
চন্দ্রগ্রহণ তেমতি কহে বিজ্ঞজন।
গ্রহণ পশ্চাতে যেবা গঙ্গাস্নান করে,
রোগমুক্ত সেইজন চিরদিন তরে।

চন্দ্র ও সূর্য-গ্রহণ কহেন লক্ষ্মণ,
গ্রহণের সারকথা শুনে সর্বজন।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

1 thought on “সূর্য গ্রহণ (বিবিধ কবিতা)

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।