শীতে কাঁপি ঠক ঠক ……. শীত এলো ভাই দশম পর্ব শীতের কবিতা-১০

শীতে কাঁপি ঠক ঠক ……. শীত এলো ভাই
দশম পর্ব শীতের কবিতা-১০

কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

রোদ উঠেছে পূব আকাশে
সোনার রবি হাসে,
হিম পড়েছে আজকে ভোরে
সবুজ কচি ঘাসে।

শীতের দিনে আকাশ দেখি
ঢেকেছে কুয়াশায়,
শীতের রাতে হাড়-কাঁপুনি
ঠাণ্ডা যে লাগে গায়।

সাঁঝের বেলা প্রচণ্ড শীত
সারাটা গ্রাম জুড়ে,
শীতের রাতে মানুষ থাকে
শীতের কাঁথা মুড়ে।

শীতের রাতে কুকুরগুলো
চেঁচায় সারারাত,
নদীর বাঁকে শেয়াল ডাকে
নির্জন নদীঘাট।

তাল খেজুর সুপারি গাছ
কাঁপে শীতের রাতে,
ঘাসের পরে শিশির ঝরে
তিমির নিশা কাটে।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

1 thought on “শীতে কাঁপি ঠক ঠক ……. শীত এলো ভাই দশম পর্ব শীতের কবিতা-১০

  1. পুনরায় শুভেচ্ছা জানালাম পদ্য কবিতায়। অভিনন্দন মি. ভাণ্ডারী। শুভ সকাল। :)

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।