বসন্ত এলো আজি…….. নব বসন্তের গান
গীতি কবিতা – ষষ্ঠ পর্ব।
তথ্যসংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
ফুলের উচ্ছ্বাসে হাসছে আকাশ, কাঁপছে বাতাস, দুলছে আম্রমুকুল। অকারণের সুখে অলক্ষ্যে রঙ লাগছে অশোকে-কিংশুকে। মেঠোপথের ধারে কারও জন্য অপেক্ষা না করেই ফুটছে নাম না-জানা অসংখ্য সব ফুলেরা। তরুণ মনে বিহ্বলতা ছড়িয়ে দিচ্ছে কোকিলের ডাক।
সে সুরের আবেগে প্রকৃতিতে বসন্তের রঙ লেগেছে ক’দিন ধরেই- তবে দিনপঞ্জির হিসাবে তার অভিষেক আজকের নতুন সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে।
ফাল্গুনে বসন্ত উৎসবের রঙে মেতে ওঠে তরুণ হৃদয়, নতুন করে প্রাণ পান প্রবীণেরা। বসন্তে শুধু প্রকৃতিই নয়, হৃদয়ও রাঙা হয়ে ওঠে। বসন্ত তাই অনেকের কাছে ‘প্রেমের ঋতু’। সে ঋতুতে চোখে নেশা লাগে, দিক ভুল হয়; বাসনা বিলাসে বাড়ে আশা, বৃদ্ধি পায় মনের সুপ্ত তিয়াশা।
মায়াময় বসন্ত সবাইকে কেড়ে নেয় নিজের ভালবাসার মোহে। যেন প্রেমিকা তার প্রেমিককে মায়া বন্ধনী দিয়ে আবদ্ধ করে রাখে, তেমনি নব ফাগুন সবাইকে নিজের মায়ামন্ত্রে আচ্ছন্ন করে রাখে। নব বসন্ত বাঙালির প্রাণে নতুনত্বে প্রাণ সঞ্চার করুক এটাই হোক বসন্ত বরণের অভিপ্রায়। আসুন, আমরা সবাই নব বসন্তের রঙে রাঙিয়ে তুলি নিজেদের। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!
নব বসন্তের গান – ৬
কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
ফুলবনে ফুল ফুটে
পূবদিকে রবি উঠে
পাখি গীত গায় তরুশাখে,
ফুলবনে ফুটে কলি
আসে ধেয়ে যত অলি
বসন্তে কোকিল সুরে ডাকে।
রাঙাপথে দুই ধারে
তালগাছ সারে সারে
সবুজ ডাঙায় গাভী চরে,
সোনাঝরা রোদদুরে
রাখালিয়া বাঁশি সুরে
মোর পরাণ পাগল করে।
বসন্তের রং মাখে
শিমূল পলাশ শাখে
ফুলে ফুলে শোভা মনোহর,
অজয় নদীর ঘাটে
অবশেষে বেলা কাটে
সন্ধ্যা নামে অজয়ের চর।
বরাবরের মতো চমৎকার আয়োজন। অভিনন্দন মি. কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী।
অনবদ্য প্রকাশ। অসাধারণ l