শুভ জন্মদিনে একটি পত্র ও একটি কবিতা

শুভ জন্মদিনে পুত্রের প্রতি
পিতা-মাতার পত্র

প্রিয় পুত্র,
সূর্যশেখর, আজ তোমার শুভ জন্মদিন।

আজকের দিন তাই সূর্যের রশ্মিতে ভরা, আজকের পৃথিবী তোমার জন্য
মুখরিত হবে সারাদিন গানে গানে, তুমি এই দিনে পৃথিবীতে এসেছ
তাই আজকের এই দিনটা হোক আরও অধিক সুন্দর
উচ্ছল ও উজ্জ্বল শুভ কামনায়।

তোমার জন্য আজকের এই সোনা ঝরা রোদ আর স্বপ্ন ঝরা সকাল
তোমার জন্য হাসে অবিরল অলস সুনিবিড় দুপুর, ও স্নিগ্ধ বিকাল,
আমাদের ভালবাসা নিয়ে নিজে তুমি, ভালবাস সব সৃষ্টিকে।
সব মানুষকে ভালবাস। ভালবাস প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজনদের।
মানুষকে ভালবেসে আপন করে নিতে পারলেই জীবনে
পার্থিব সুখ, শান্তি আর ভালবাসা সবই পাওয়া যায়।

তুমি এই দিনে পৃথিবীতে এসেছ, তাই শুভেচ্ছা তোমায়,
তোমার জন্য আজ ফুটেছে পৃথিবীর সব শিশিরে ভেজা শিউলি,
তোমার জন্য আজ আমার এই কবিতা যেন প্রস্ফুটিত ফুলকলি।

সূর্যশেখর নাম তব, সূর্য সম আলোকিত হয়ে নিজে তুমি,
আলোকিত কর পৃথিবীকে। অন্ধকারে পথ দেখাও সবাকারে।
আপনারে ভালবেসে ভালবাস সকলেরে। সবার মঙ্গল কর।
এই হোক তোমার পবিত্র পূণ্যব্রত।
ভালো থেকো। বড় হও।
শুভেচ্ছা রইলো।
ইতি
তোমার শুভাকাঙ্খী,
জনক ও জননী (লক্ষ্মণ ও শেফালি)

শুভ জন্মদিন
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

শরতের নীলাকাশ আজিকে রঙিন,
আজি মোর সন্তানের শুভ জন্মদিন।
তরুশাখে পাখি সব করিছে কূজন,
সোনালী রোদ্দুর তাই খুশিতে মগন।

২২শে সেপ্টেম্বর ২০০৩, শনিবার,
শুভক্ষণে জন্ম নিল সন্তান আমার।
শুভ দিনে পুত্র মোর আসিল ধরায়,
শুভ জন্মদিনে সবে শুভেচ্ছা জানায়।

নয়নের মণি পুত্র! অমূল্য রতন,
সকলের আশীর্বাদ করিবে গ্রহণ।
পিতায় ভকতি আর মায়ে যার টান,
সেইছেলে সর্বোত্তম, হয় পূণ্যবান।

সূর্যশেখর নামে সে কবির তনয়,
জন্মদিন কাব্যে কবি কবিতায় কয়।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

5 thoughts on “শুভ জন্মদিনে একটি পত্র ও একটি কবিতা

  1. সূর্যশেখর নামে সে কবির তনয় …
    জন্মদিনে অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। দীর্ঘজীবি হোক। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।