শিউলি ঝরানো সকালে শরতের কবিতা শারদ সংকলন-১৪২৭ চতুর্থ পর্ব

শিউলি ঝরানো সকালে শরতের কবিতা
শারদ সংকলন-১৪২৭ চতুর্থ পর্ব

কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

শরতের সোনা ঝরা রোদ্দুর পাগল করা
আঙিনায় সোনা রোদ হাসে,
ফুটিল কমল কলি জুটে আসে যত অলি
সাদা মেঘ গগনেতে ভাসে।

অজয় নদীর পারে কাশফুল সারে সারে
কাশবনে শালিকেরা নাচে,
কেয়াফুল ফুটে বনে শরতের আগমনে
গাহে পাখি মহুলের গাছে।

গাঁয়ের পথের ধারে আজ বৃহস্পতিবারে
বটের তলায় বসে হাট,
হাটুরেরা আসে হাটে সেথা সারাদিন কাটে
পরে যায় অজয়ের ঘাট।

খেয়াঘাটে দেখি মাঝি তরী আনে কূলে আজি
সাঁঝ হলে শেষ খেয়া বায়।
হাটের হাটুরে যত বেচে কিনে কত শত
দলে দলে ঘরে ফিরে যায়।

ঢাকঢোল কাঁসি বাজে, আরতি মন্দির মাঝে
জ্বলে দীপ তুলসী তলায়,
শরতের চাঁদ উঠে লক্ষ লক্ষ তারা ফুটে
দূরে নীল আকাশের গায়।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

2 thoughts on “শিউলি ঝরানো সকালে শরতের কবিতা শারদ সংকলন-১৪২৭ চতুর্থ পর্ব

  1. শরতের সোনা ঝরা রোদ্দুর পাগল করা
    আঙিনায় সোনা রোদ হাসে,
    ফুটিল কমল কলি জুটে আসে যত অলি
    সাদা মেঘ গগনেতে ভাসে।

    সুন্দর কবিতা।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।