কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা……. দেবী বিসর্জন এসো মাগো বসো ঘরে (বিসর্জন পর্ব)

কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা……. দেবী বিসর্জন
এসো মাগো বসো ঘরে (বিসর্জন পর্ব)

কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

3

কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা দেবী বিসর্জন,
এক বর্ষ পরে পুনঃ দেবী আগমন,
দেবী বিসর্জন আজি অপরূপ সাজে,
চলে সবে নদীতটে ঢাকঢোল বাজে।

আলতা সিঁদুরে করে দেবীর বরণ,
সাজানো বরণ ডালা সুগন্ধি চন্দন।
ধান্য খই বাতাসা ও সুমিষ্টান্ন ফল,
বিসর্জনের বাজনা মহা কোলাহল।

নদীঘাটে আসে সবে লইয়া প্রতিমা,
সকলে বন্দনা করে দেবী আরাধনা।
জয় মহালক্ষ্মী বলি গাহে জয়গান,
নদীজলে বিসর্জন দেবীর ভাসান।

লক্ষ্মী বিসর্জন কাব্য করি সমাপন,
মালক্ষ্মীর কৃপা মাগে শ্রীমান লক্ষ্মণ।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

1 thought on “কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা……. দেবী বিসর্জন এসো মাগো বসো ঘরে (বিসর্জন পর্ব)

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।