ভ্রাতৃদ্বিতীয়া ও ভাইফোঁটা উত্সব (ধর্মীয় সামাজিক কবিতা)

ভ্রাতৃদ্বিতীয়া ও ভাইফোঁটা উত্সব
(ধর্মীয় সামাজিক কবিতা)
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

1-2

(ভাইফোঁটা হিন্দুদের একটি উৎসব। এই উৎসবের আর এক নাম ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। কার্তিক মাসের শুক্লাদ্বিতীয়া তিথিতে (কালীপূজার দুই দিন পরে) এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পশ্চিম ভারতে এই উৎসব ভাইদুজ নামেও পরিচিত। সেখানে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া পাঁচ-দিনব্যাপী দীপাবলি উৎসবের শেষদিন। আবার, মহারাষ্ট্র, গোয়া ও কর্ণাটকে ভাইফোঁটাকে বলে ভাইবিজ। নেপালে ও পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে এই উৎসব পরিচিত ভাইটিকা নামে। সেখানে বিজয়া দশমীর পর এটিই সবচেয়ে বড় উৎসব।)

ভ্রাতৃ-দ্বিতীয়ার দিন ভাই ফোঁটা হয়,
শুভক্ষণে ফোঁটা দিলে কাটে যমভয়।
ঘরেঘরে ভাইফোঁটা ফোঁটা দেয় বোন,
ভ্রাতার ললাটে শোভে সুগন্ধি চন্দন।

সুগন্ধি চন্দন সহ ধূপ দীপ আর,
গুঁয়াপান ধান্যদূর্বা যতেক প্রকার।
সুমিষ্টান্ন ফল-মূল উপহার নানা,
ভাইফোঁটা ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা।

বর্ষে বর্ষে ভাইফোঁটা আসে একবার,
ভগিনীকে দেয় ভ্রাতা, নানা উপহার।
সবশেষে গুঁয়াপান দেয় বিধিমতে,
সারাদিন হৃষ্টচিত্ত ভ্রাতার সহিতে।

ভাইবোন সারাদিন করে আলাপন,
ভাইফোঁটা কাব্য লিখে শ্রীমান লক্ষ্মণ।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

1 thought on “ভ্রাতৃদ্বিতীয়া ও ভাইফোঁটা উত্সব (ধর্মীয় সামাজিক কবিতা)

  1. বর্ষে বর্ষে ভাইফোঁটা আসে একবার, ভগিনীকে দেয় ভ্রাতা, নানা উপহার।
    সবশেষে গুঁয়াপান দেয় বিধিমতে, সারাদিন হৃষ্টচিত্ত ভ্রাতার সহিতে। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।