অঘ্রানে ধানের খেতে….. সোনা ধানের হাসি বাংলার ঘরে ঘরে নবান্ন উত্সব (প্রথম পর্ব)

অঘ্রানে ধানের খেতে….. সোনা ধানের হাসি
বাংলার ঘরে ঘরে নবান্ন উত্সব (প্রথম পর্ব)

কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

1

অঘ্রানে ধানের খেতে হাসে সোনা ধান,
দূরে কোথা ভেসে আসে বাউলের গান।
সকালের সোনারোদ ধান খেতে ঝরে,
চাষী সবে ধান কাটে, সারা দিন ধরে।

মাঠে মাঠে ধান কাটে গাঁয়ে সব চাষী,
ধান কাটে আঁটি বাঁধে ধান রাশি রাশি।
ধান লয়ে গরু গাড়ি চলে ধীরে ধীরে,
অবশেষে আসি থামে অজয়ের তীরে।

বামে রাখি নদীতীর সোজা ঢুকে গাঁয়ে,
দুই ধারে ছোট বাড়ি, সবুজের ছায়ে।
পদ্মদিঘি কালো জলে স্নান করে সবে,
ছোট ছোট ছেলে সবে মাতে কলরবে।

ঘুঘু পাখি ডাক দেয় সোনা ধানখেতে,
উত্তরে হাওয়া বয়, প্রাণ উঠে মেতে।
চাষী ভাই ঘরে ফেরে সাঁঝের বেলায়,
সাঁঝের আঁধার নামে আমাদের গাঁয়।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

1 thought on “অঘ্রানে ধানের খেতে….. সোনা ধানের হাসি বাংলার ঘরে ঘরে নবান্ন উত্সব (প্রথম পর্ব)

  1. অঘ্রানে ধানের খেতে হাসে সোনা ধান, দূরে কোথা ভেসে আসে বাউলের গান।
    সকালের সোনারোদ ধান খেতে ঝরে, চাষী সবে ধান কাটে, সারা দিন ধরে। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।