অঘ্রানে ধানের খেতে….. সোনা ধানের হাসি বাংলার ঘরে ঘরে নবান্ন উত্সব (চতুর্থ পর্ব)

অঘ্রানে ধানের খেতে….. সোনা ধানের হাসি
বাংলার ঘরে ঘরে নবান্ন উত্সব (চতুর্থ পর্ব)

কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

2

অঘ্রানে নবান্ন পর্ব মহা ধূমধাম,
নবান্নের উত্সবে মেতে উঠে গ্রাম।
নতুন ধানের খই চিঁড়ে গুড় আর,
খেজুর, নলেন গুড় বিবিধ প্রকার।

কাস্তে হাতে আসে চাষী মাঠে কাটে ধান,
ভেসে আসে মিঠা সুরে রাখালিয়া গান।
খেজুরের রস ফুটে, সুগন্ধ ছড়ায়,
নতুন আখের গুড়ে মন ভরে যায়।

অজয়ের ঘাটে ঘাটে যাত্রীদের ভিড়,
নদীতটে সোনারোদ বহিছে সমীর।
নদীতীর সুশীতল পাখি গাহে গান,
নদীবাঁকে ধানখেতে চাষী কাটে ধান।

রাঙাপথ গেছে চলে নদী ধার দিয়ে,
চলিছে গরুর গাড়ি ধান আঁটি নিয়ে।
মাঠে মাঠে সোনা ধান খুশি সব চাষী,
আঙিনায় ভরে গোলা ধান রাশি রাশি।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

2 thoughts on “অঘ্রানে ধানের খেতে….. সোনা ধানের হাসি বাংলার ঘরে ঘরে নবান্ন উত্সব (চতুর্থ পর্ব)

  1. প্রকৃতির চির চেন রূপ মাধুরী। অভিনন্দন প্রিয় কবি মি. ভাণ্ডারী। কেমন আছেন? https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।