বর্ষ-বরণ 2021 নতুন বছরের প্রথম কবিতা

নববর্ষ-বরণ 2021
তথ্যসংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

1

প্রতিদিনের মত আজো সূর্য উঠেছে। শীতের কুয়াশা সরিয়ে উঁকি দিয়েছে উজ্জ্বল রোদ। কিন্তু অন্য যে কোনো দিনের চাইতে আজকের ভোরের আলোতে যেন বেশি মায়া মাখানো। যেন নতুন স্বপ্নের কথা বলছে। বলছে, সামনের দিনগুলোতে অনিশ্চয়তা কেটে গিয়ে শুভময়তা ছড়িয়ে যাবে দেশে, পৃথিবীতে। আশাজাগানিয়া সূর্যকিরণ যেন সে দ্যুতিই ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রত্যেকের প্রাণে, মনে।

আজ ২০২১ সালের প্রথম দিন। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মত আমরাও আমাদের অগণিত পাঠকদের জানাই ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’। নতুন বছরটি আনন্দে, শান্তিতে ভরে উঠুক–এই প্রত্যাশা।

আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে/তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের এ কথার মতই দুঃখ, কষ্ট সবকিছু কাটিয়ে নতুন জীবনের দিকে যাত্রার প্রেরণা নেবে মানুষ। নতুন বছরটি যেন প্রতিটি মানুষের মন থেকে সকল গ্লানি, অনিশ্চয়তা, হিংসা, লোভ ও পাপ দূর করে। রাজনৈতিক হানাহানি থেমে গিয়ে যেন আমাদের প্রিয় স্বদেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

গত বছরের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির হিসাব খুঁজতে খুঁজতে নতুন বছরকে সামনে রেখে আবর্তিত হবে নতুন নতুন স্বপ্নের।
রাজনৈতিক সহিংসতা, নানা দুর্যোগ-দুর্ঘটনা আর ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ইংরেজি ২০২০ সাল। মহাকালে মিলিয়ে গেল আরেকটি ঘটনাবহুল বছর। এলো নতুন বছর ২০২১- সারা বিশ্বের মানুষ আনন্দ-উল্লাস করে পালন করছে এই নতুন বছরের শুরুর ক্ষণটিকে বর্ষ-বরণ হিসাবে।

বর্ষ-বরণ 2021
নতুন বছরের প্রথম কবিতা

কলমে-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

3

নতুন বছর নতুন আলোয়
খুশিতে ভুবন ভরা।
আসুক আলোক ঘুচুক আঁধার
শোক তাপ গ্লানি জরা।

নতুন বছর নতুন আলো
মুছুক যত মনের কালো
দিনটি সবার কাটুক ভালো
এসো এসো সবে ত্বরা,
মধুর লগনে সবাকার সনে
খুশিতে নাচবো মোরা।

নতুন বছর নতুন দিনে
খুশিতে ভরা প্রাণ,
নতুন আলোয় নতুন সুরে
নতুনের আহ্বান।

তরুশাখে ডাকে পাখি
কিচিমিচি ডাকি ডাকি
রবি সোনা রং মাখি
পূরবেতে দৃশ্যমান।
তরুর শাখে পাখিরা ডাকে
প্রভাত পাখির গান।
নতুন বছর নতুন দিনে
খুশিতে ভরা প্রাণ।

প্রভাত রবি ছড়ায় কিরণ
মেঘে মেঘে রং লাগে,
রাখাল সুরে বাজায় বাঁশি
চিত্তে পুলক জাগে।

অজয় নদীর চরে
সোনাঝরা রোদ ঝরে
দেখি রাঙাপথ ধরে
আসে বধু কলসী কাঁখে,
কু ঝিক ঝিক রেলগাড়ি ধায়
বেলা বারোটার আগে।
নতুন রবি ছড়ায় কিরণ
মেঘে মেঘে রং লাগে।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

2 thoughts on “বর্ষ-বরণ 2021 নতুন বছরের প্রথম কবিতা

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।